ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টাও না পেরোতেই সাতক্ষীরার পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ বাজারে ওঠা এবং সরকারের আমদানির সিদ্ধান্ত, এই দুই কারণে বাজারে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের ভিতরে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়। গতকাল রোববার পর্যন্ত পুরাতন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৩০ টাকা হলেও আজ তা নেমে এসেছে ১১০ টাকায়।
নতুন মেহেরপুর জাতের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ সেটি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭০ টাকা কেজিতে।
পেয়াজ ব্যবসায়ী তুহিনুর রহমান বলেন, পুরো বছর দেশি পেঁয়াজেই দেশের চাহিদা মিটেছে। মৌসুমের শেষদিকে কিছু ব্যবসায়ীর বেশি লাভের আশায় বাজার অস্থির হয়েছিল। আমদানির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর রাতারাতি দাম কমে গেছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা নাজমুল, বলেন,সরবরাহ কমের অজুহাত দেখিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম একেবারে বেড়ে যায়। দেশি পেঁয়াজ ৫০–৬০ টাকার মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়। ভালোভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ এলে দাম আরও কমবে আমরা আশা করি ।
আরেক ক্রেতা আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, গতকাল ১০৫ ও ১৩০ টাকার পেঁয়াজ আজ ৭০ ও ১১০ টাকা। এটা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ছাড়া আর কিছু নয়। বাজার কমিটি বা ভোক্তা অধিকার,অফিসাররা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে এমন সমস্যা হতো না।
সুলতানপুর বড়বাজারের আড়তদার আজিজুল ইসলাম মোল্যা বলেন,পুরাতন পেঁয়াজের মজুদ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছিল। এখন সরবরাহ বাড়ায় এবং আমদানির অনুমতি দেওয়ায় দাম কমেছে। পাইকারিতে পুরাতন পেঁয়াজ ১০৫ টাকা এবং নতুন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন; একজন ৩০ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন না। সরকারের অনুমতি উন্মুক্ত হলে বাজারে দাম আরও কমবে আমরা আশা করছি।
ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান,রোববার বিকালে প্রথম চালানে ৩০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬ টাকা।
উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভারত থেকে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ৫০ জন আমদানিকারককে দেওয়া এসব আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। কোনো আমদানিকারক দ্বিতীয়বার আবেদন করতে পারবেন না।