চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)–তে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স ও ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এসময় তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে বিভিন্ন পুরস্কারও বিতরণ করেন।
বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরে তিনি মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ আয়োজনের জন্য বিএমএ’র কমান্ড্যান্টসহ সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ১৮৪ জন এবং ৬০তম স্পেশাল কোর্সের ২০ জনসহ মোট ২০৪ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। নবীন কমিশনপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ এবং ২১ জন মহিলা সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অতিথিবৃন্দ ও কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের পিতা–মাতা ও অভিভাবকরা নবীন কর্মকর্তাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট। কুচকাওয়াজে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের পিতা-মাতা ও অভিভাবক এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।