থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা ভুটানের পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এসে পৌঁছানোর চারদিন পর সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ভুটানের উদ্দেশ্যে ছেড়েছেন।
ভুটান তাদের ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ শুরু করলেও, তা শুরুতেই বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছিল। তবে এতে ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ স্বাক্ষরিত চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় এই পরীক্ষামূলক৷ ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্যচালান সফলভাবে ভুটানে যাওয়ায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।এর ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের লোড–আনলোড, সিএন্ডএফ এজেন্টদের ব্যবসা বৃদ্ধি, বন্দর এলাকার বিভিন্ন গুদাম ভাড়া—সব মিলিয়ে বন্দরে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস) এর সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা ভুটানগামী পণ্যবাহী কার্গো ট্রাকটি ভারতের অনুমতিতে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা বন্দরের নাম না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। পরে সমাধান হলে ভারত কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন।