× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৬ পিএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতি কেজি মাত্র ১৫ টাকায় প্রতি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহ করলেও প্রকৃত উপকারভোগীদের বাদ দিয়ে ডিলার ও তার লোকজন নিয়মিত এসব চাল অন্যত্র বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা পরিবারকে মৌসুমী খাদ্যসংকট মোকাবেলায় সহায়তা করতে ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করে সরকার। ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলারের মাধ্যমে কার্ডধারী পরিবারগুলো এই চাল পেয়ে থাকেন।

সৈয়দপুর ইউনিয়নের ডিলার চৌধুরী এন্টার প্রাইজের মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডের মোট ৭৪৪টি পরিবার বরাদ্দ হিসেবে চাল পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত অক্টোবর মাসে ৮নং ওয়ার্ডের চারজনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ৮জন কার্ডধারী চাল পাননি।

এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ডিলারের সাথে যোগাযোগ করলে ডিলার তাকে জানান, “চাল শেষ, দিতে পারবো না।”

চলতি নভেম্বর মাসে মাত্র দুই দিন (১৮ ও ১৯ তারিখ) চাল বিতরণ করে কার্যক্রম শেষ করেন ডিলার। অথচ নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে সোম, মঙ্গল ও বুধবার - অন্তত তিনদিন চাল বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে চলতি মাসে ২নং ওয়ার্ডের ১জন, ৮নং ওয়ার্ডের ৩জন এবং ৯নং ওয়ার্ডের ৩জন কার্ডধারী নির্ধারিত দিনে চাল নিতে না পারলেও পরে যোগাযোগ করলে ডিলার তাদের জানান - “বিতরণ তো শেষ, পরে আবার চাল আসলে দেওয়া হবে।”

কার্ডধারীদের প্রশ্ন- যারা চাল নিতে পারেননি, তাদের চাল কোথায় গেল? ডিলার বা তার লোকজন কি এসব চাল বেশি দামে বিক্রি করেছেন? ডিলারের মতামত জানার জন্য ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাস্টাররোলে নাম থাকা স্বত্তেও অনেককে চাল দেওয়া হয় না। ডিলার ও তার লোকজন কার্ডধারীর নামেই চাল উঠিয়ে নিয়ে যায়। মৃত ব্যক্তির চালও রেজিস্টারে স্বাক্ষর জাল করে অন্যের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, “এই মাসে আমার ওয়ার্ডের ৩ জন কার্ডধারী চাল পাননি। বারবার যোগাযোগ করেও ডিলারের কাছ থেকে চাল মেলেনি।”

তিনি আরও বলেন,“গত সেপ্টেম্বর মাসে একজন মৃত ব্যক্তির চাল রেজিস্টারে স্বাক্ষর জাল করে অন্যের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। পরে উপজেলা কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রকৃত উপকারভোগীকে সেই চাল ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শামসুন্নাহার স্বর্ণা বলেন,“ডিলারদের নিয়ম সপ্তাহে তিনদিন চাল বিতরণ করা। কিন্তু এ মাসে তারা মাত্র দুইদিন চাল দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ডিলারের সাথে কথা বলা হবে।”

সৈয়দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী এনামুল বারী বলেন- চাল বিতরনে “অনিয়মের বিষয়ে শুনেছি। চাল না পাওয়া কার্ডধারীদের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই চাল বিতরণে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। উপজেলা খাদ্য অফিসে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তিনি গ্রহন করেন নি।

কার্ডধারীদের দাবি-“আমাদের কার্ডের চাল আমাদের বুঝিয়ে দিন-এটাই আমাদের দাবি।”


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.