রামপালে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও করণীয় বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রামপাল উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে 'নাগরিক প্রকল্প' আয়োজিত এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি এম, এ সবুর রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অথিতির বক্তব্য দেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী মিজ তামান্না ফেরদৌসি। বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান, উপজেলা নাগরিক ফোরামের সহসভাপতি লায়লা সুলতানা, সহসভাপতি ছবি রানী, সাধারণ সম্পাদক এ্যাঞ্জেল মৃধা, সদস্য সাদিয়া আফরোজ মিম, মারুদা খাতুন, রামপাল সদর ইউপি সচিব সুশীল কুমার দাশ, গৌরম্ভা ইউপি সদস্য আবু মুছা আকুঞ্জী, রামপাল সদর ইউনিয়ন নাগরিক ফোরামের সভাপতি মোতাহার হোসেন মল্লিক, সম্পাদক কাজী ফারজানা মুন্নি, সাদিয়া আফরোজ মিম, কবির আকবর পিন্টু, লিয়াকত হোসেন, শওকাত হোসেন, বৃষ্টি খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি প্রান্তিক মানুষ বাস করে। অতি দরিদ্র, আদিবাসী, দলিত, বেদে, সহিংসতার শিকার নারী, নারী প্রধান পরিবার, প্রতিবন্ধী, লিঙ্গ বৈচিত্র্যের মানুষ, নদীভাঙন ও দুর্যোগে আক্রান্ত জনগণসহ নানা গোষ্ঠী। তারা সমাজে বৈষম্য, সম্পদে প্রবেশাধিকার ও সেবা বঞ্চনার শিকার হন প্রায়ই।
বাংলাদেশ সরকার ২৫টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১২৫টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব ও সামাজিক অবস্থানের দুর্বলতার কারণে অনেক প্রান্তিক মানুষ এসব সেবা পেতে নানা বাধার সম্মুখীন হন। তাই স্বচ্ছতা, তথ্যপ্রবাহ, সহজলভ্যতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর ওপর সংলাপে জোর দেওয়া হয়।
এসময় জানানো হয়, বাগেরহাটসহ ছয় জেলায় 'সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নাগরিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি' প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর লক্ষ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও যুবদের কণ্ঠস্বর শক্তিশালী করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
প্রকল্পের আওতায় রামপালের দুই ইউনিয়নে দুটি নাগরিক ফোরাম এবং ২০ সদস্যের উপজেলা নাগরিক ফোরাম গঠন, নেতৃত্ব ও এ্যাডভোকেসি প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, গণশুনানি, ডায়ালগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংলাপটি পরিচালনা করেন নির্মাণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিজিয়া পারভীন।