রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দু’ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন ও মনোনয়ন বঞ্চিত অ্যাডঃ সুলতানুল ইসলাম তারেক সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিন প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ সময় সরকারি অফিস ও গাড়ী ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকগণ প্রাণ বাঁচাতে সরকারি অফিসে আশ্রয় নেয়।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। তার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা।
এদিকে এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে,তারেক অনুসারীদের দাবি তারা ডাকবাংলো মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে মশাল মিছিল আয়োজন করেন।কিন্ত্ত শরিফ উদ্দিন অনুসারীরা অতর্কিত ভাবে তাদের মিছিলের উপর হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।এতে তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।অন্যদিকে
শরিফ উদ্দিন অনুযায়ীদের দাবি তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক অনুসারিরা তাদের উপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।এতে তাদের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুলতানুল ইসলাম তারেকের সমর্থকরা তানোর উপজেলা সদরে মশাল মিছিল বের করেন। শান্তিপূর্ণ ওই মিছিলে হঠাৎ করেই হামলা চালান শরীফ উদ্দিনের সমর্থকরা বলে দাবি করেন তারেক সমর্থকেরা।
বিএনপি কর্মী রাহেল আলী জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মশাল মিছিল বের করেন। হঠাৎ করেই অতর্কিত হামলা চালান সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। তিনি এলাকায় শরীফ উদ্দিনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাদের হামলায় তারেক অনুসারী কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান জানান, তারা হামলা করেননি। মিছিল থেকে তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তাদের ৫ জন আহত হয়েছে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।