কয়রার বিএনপির দু:সময়ের অন্যতম ত্যাগী নেতা ও বর্তমান সদস্য সচিব নূরুল আমিন বাবুল অবশেষে ফিরে এসেছেন তার রাজনৈতিক যাত্রায়। কিছু চক্রান্তের কারণে তিনি আগে বহিষ্কৃত হলেও, দলের সিদ্ধান্ত ও তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বহিষ্কারাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়। দলের প্রতি তার দীর্ঘদিনের অবদান ও ত্যাগকে মূল্যায়ন করে তাকে পুনরায় দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাবুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাবুল আবারও ফিরে এসেছেন তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গনে—আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে। তবে কয়রার গণমানুষের কাছে তিনি একজন প্রিয় ও ভালোবাসার নেতা হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত।
দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি কয়রায় চরম দুঃসময়ের মুখোমুখি হলেও সেই সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নূরুল আমিন বাবুল। সংগঠনকে টিকিয়ে রাখা, কর্মীদের সাহস জোগানো এবং দলের পতাকা উড়িয়ে রাখতে তাঁর অবদান ছিল অনন্য।
মামলা-হামলা, নির্যাতন ও ভয়ভীতি কোনকিছুই তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। বাবুলের বিরুদ্ধে ২৩টি মিথ্যা মামলা করা হয় ৫ বার কারাগারে যেতে হয়েছে প্রত্যেকবারই রিমান্ডে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কয়রার রাজনৈতিক ইতিহাসে বাবুলের মতো হয়রানির শিকার আর কোনো নেতার উদাহরণ নেই বললেই চলে। তবুও দলের প্রতি তার নিষ্ঠা কখনো কমেনি।
ভবিষ্যৎ নিয়ে বাবুলের প্রত্যয় সব প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁর বিশ্বাস “বিএনপি ভাঙবে না। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। সকলে সক্রিয় থেকে সকল বাধা মোকাবিলা করতে হবে।” তিনি কর্মীদের সবসময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের পক্ষে কাজ করার। রাজনীতি থেকে সাময়িক দূরে থাকলেও দলের প্রয়োজনেই আবার ফিরে এলেন নূরুল আমিন বাবুল। দল ও কর্মীরা বিশ্বাস কওে কয়রার রাজনীতিতে বাবুল আবারও হবে শক্ত কণ্ঠস্বর, দুঃসময়ের কান্ডারি এবং গণমানুষের প্রিয় নেতা।