বাগেরহাটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে মৎস্যজীবী ও মৎস্য চাষীদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারাভিযান ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮ ঘটিকায় মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে একটি র্যালি জেলা সদরের সুন্দরঘোনা কাঠালতলা নামক স্থান থেকে শুরু হয়ে খুলনা বাগেরহাটের পুরাতন সড়ক পুরো দক্ষিণ শেষে ষাটগম্বুজ ঘোড়া দীঘির পাড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দা ইউনাইটেড নেশন এর কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১২ ঘটিকায় সদর উপজেলার রায়পাড়া এলাকার বারুইপাড়া পূর্ণ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে মৎস্যজীবী ও মৎস্য চাষীদের সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মৎস্য প্রদর্শন করা হয়। স্থানীয় মৎস্যজীবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজের আয়োজন করা হয়। কুইজ শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দা ইউনাইটেড নেশন এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আবুল হাসানাত, অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেশন এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্পেশালিস্ট মোঃ সোলায়মান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসী আনসারী, বারুইপাড়া পূর্ণ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার পাল, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম উদ্দিন, উদ্যোক্তা ও মৎস্যজীবী শেখ হাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং এলাকার মৎস্য চাষিরা।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, এদেশে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। একটি পরিবার স্বাবলম্বী হতে হলে মৎস্য চাষের বিকল্প নাই। বৃক্ষ রোপন এবং মৎস্য চাষ একসাথে করা হলে ঝুঁকি কম ও চাষী লাভবান হবে। আমিষের অভাব হবে না। স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করা হলে এদেশ থেকে দারিদ্র্যতা দূর করা সম্ভব।