রংপুরের বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও পুরাতন ইটের ওপর ঢালাইসহ নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি লক্ষ্য করা গেছে। সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে স্টেশন এলাকার ঢালাই ও ড্রেন নির্মাণ কাজ চলাকালে এসব অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ পায়। নিম্নমানের বালু ও পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসময় স্টেশন মাস্টার ইমরুল কায়েস নিম্নমানের বালু সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেও সাব-ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম সেই নির্দেশ অমান্য করে পুরাতন ইটের ওপরই ঢালাই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার ও রিপেয়ারিং কাজের দায়িত্ব পেয়েছে জামিল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজটি পরিচালনা করছেন তরিকুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে, কোনো অনুমোদিত এস্টিমেট ছাড়াই তিনি মুসাফিরখানা, ড্রেন ও অন্যান্য অংশে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ শুরু করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, “পুরাতন ইট ও বালুমিশ্রিত পাথর দিয়ে আগের ভাঙা জায়গার ওপরই ঢালাই করা হচ্ছে। এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না, বরং সরকারি অর্থের অপচয় হবে।”
সাব-ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমার কাছে কোনো এস্টিমেট নেই। যেভাবে আমাকে বলা হয়েছে, আমি সেভাবেই কাজ করছি।” রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইমরুল কায়েস বলেন, “আমি তরিকুল ইসলামের কাছে কাজের এস্টিমেট চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি তা দেখাননি। নিম্নমানের বালু দিয়ে কাজ করায় আমি বাধা দিয়েছি। আমার নির্দেশ না মেনে তিনি নিজের মতো করে কাজ করছেন।”
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা রেলওয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রংপুর আই.ডব্লিউ.ডি. এর শফিকুল ইসলাম স্বপন মুঠোফোনে বলেন, “রেলওয়ে স্টেশনের রিপেয়ারিং কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে। এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ চলছে।” তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট অতিরিক্ত দায়িত্ব মো. মোরশেদ আলম বলেন, রেলওয়ে স্টেশনে কাজে ঠিকাদার যদি অনিয়ম করে থাকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত তদন্ত করে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।