সাতক্ষীরায় এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত সেলিনা আক্তার (২৫) জেলার কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি গ্রামের মো.জুয়েল গাজীর স্ত্রী। গত মঙ্গলবার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেলিনা আক্তারের মৃত্যু হয়। তার তিনটি সন্তানও আছে।
মৃত সেলিনা আক্তারের ছোট বোন সাথী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “আমার বোনকে রাতে মারধর করে হাসপাতালে আনা হয়। সকালে জানতে পারি, সে মারা গেছে।” সাথী আক্তার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের ওপর নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী জুয়েল গাজী।
সেলিনার বাবা সেলিম শেখ বলেন, “আমার মেয়েকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তি করার আগে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। পরে শুধু মৃত্যুর খবর জানানো হয়। হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে রেখে সবাই চলে গেছে, এবং এর আগে কয়েকবার এই মেয়ের ওপরে নির্যাতন করা হয়, তা নিয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের সালিশে মীমাংসা করানো হয়। এরপরেই আবারও মারধর করার পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চাচাতো বোন বৃষ্টি বলেন, “সেলিনা আমার চাচাতো বোন এবং দুই জা। আমরা দুই বোনের দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছি। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, শুধু হাসপাতালে এসে সব দেখি।”
সেলিনা আক্তারের মেয়ে বলেন, আমার চোখের সামনে বাবা, মাকে মারধর করেন এবং জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে দেয়। লোক-দেখানো জন্য মাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।