জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বরেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটি এসব দাবি জানায়। এ সময় নির্বাচন ঘিরে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করে তারা।
দাবিগুলো হলো: আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরই অনুষ্ঠিত করতে হবে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে, সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিতে হবে ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো প্রকার যদি-কিন্তু ছাড়া ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, একটি মহল এখন নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে। ডিসেম্বরে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা, বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই ২৭ নভেম্বরই নির্বাচন আয়োজনের মোক্ষম সময়।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুরান ঢাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরি করে নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু। দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েই আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’