সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহরে চলমান গণহত্যা বন্ধ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির মানবাধিকার কর্মীরা সুদানে চলমান গণহত্যা বন্ধ ও দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘নানা কারণে বিভিন্ন দেশের সংঘাত থেকে শুরু করে গৃহযুদ্ধে বলি হয় নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ। সুদানে যে জাতিগত নিধন চলছে, তা নিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই। মানবতা কোনো ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার অবস্থান বজায় রাখবে।’
সদস্য নিং ম বলেন, ‘সুদানে সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা চাই সেখানকার গৃহসংঘাত বন্ধ হোক এবং মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হোক। আমরা রক্তপাত চাই না, শান্তি চাই।’
আরেক সদস্য ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘সুদানে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে তা ১৯৪৮ সালের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ অনুযায়ী স্পষ্টতই গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।’
দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, ‘দারফুরে চলমান মানবিক সংকটে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক সব পক্ষকে এ সংকট সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ‘মানবাধিকারের কোনো বর্ণ নেই। সব বর্ণের মানুষের জন্য মানবাধিকার সমান। গাজায় গণহত্যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা থাকলেও সুদানে আড়াই বছর ধরে চলমান গণহত্যা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাই নেই। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে সুদানের এ পরিস্থিতিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলকে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
মানববন্ধনে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি একটি মানবাধিকার সংগঠন, যা মানবাধিকার রক্ষা, সচেতনতা এবং বিভিন্ন ঘটনা ও ইস্যুতে নিয়মিত প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে।