গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের হলুদভিটা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক যুবক রহস্যজনকভাবে বিষপান করে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বিষপানে নিহত যুবকের নাম মো. সুমন মতুব্বর (৩০)। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর এলাকার মধ্যপাড়া হাসামদিয়া গ্রামের গফুর মতুব্বরের ছেলে।
নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে সুমন মতুব্বর শ্বশুরবাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের হলুদভিটা গ্রামে বেড়াতে যান।
পরদিন ১ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি শ্বশুর আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে বিষপান করেন বলে জানা যায়। পরে তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২৮) তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পরপরই স্ত্রী লামিয়া আক্তার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান, তবে সে সময় শ্বশুরবাড়ির কেউ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না।
রোগীর অবস্থা অবনতি হলে ভাঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসকরা সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু ২ নভেম্বর ভোররাত ৪টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে ভাঙ্গা উপজেলার মধ্যপাড়া হাসামদিয়া গ্রামের বাড়ি লাশ নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো. আফজাল হোসেন বলেন, সুমন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে তার লাশের সুরতহাল করে মরাদেহটি ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তার প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।