সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আগামী ২০২৬ সাল ঘোষণা করায় দেশের সর্বত্রই বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। শহর থেকে গ্রাম-হাট-বাজার সর্বত্রই এখন নির্বাচনের আলোচনায় মুখর পরিবেশ, ফেস্টুন-পোস্টারে ছেয়ে গেছে জনপদ।
এই নির্বাচনী উত্তাপে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনেও শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর তরুণ ও ত্যাগী নেতা আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
দিনের পর দিন তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন—জনগণের দ্বারে দ্বারে কুশল বিনিময় করে, তাদের অভাব-অভিযোগ শুনে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি” লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
আবু সুফিয়ান বর্তমানে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে তার যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে। তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি ধীরে ধীরে উঠে আসেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে—কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও পরবর্তীতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দলের সংকটকালীন সময়ে রাজপথে থেকেছেন আপোষহীন। আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন, এক বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। রিমান্ডের কঠিন দিনও পেরিয়েছেন নির্ভীকভাবে।
সংগ্রাম ও ত্যাগের এই দীর্ঘ পথচলায় তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, আবু সুফিয়ান একজন তরুণ, ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক, যার বিনয়ী আচরণ ও কর্মীদের প্রতি আন্তরিকতা তাকে আলাদা করে তুলেছে। তাদের বিশ্বাস, তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে শেরপুর-২ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান আরও মজবুত হবে।
গণসংযোগের ধারাবাহিকতায় গত ২৫ অক্টোবর তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নসহ আশপাশের হাট-বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন।