বাগেরহাটে চাঁদা না দেওয়ায় মাদকের অভিযোগে হয়রানি, প্রাণনাশের হুমকি ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা বারোটায় বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিতলবাড়ী উপজেলার শিবপুর এলাকার মোরশেদ আলী শিকদারের ছেলে হামিম সিকদার। সে উপজেলা শহরের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। এ সময় শিবপুর এলাকার মিজানুর রহমান শিকদারের ছেলে হৃদয় সিকদার, বেদার শিকদারের ছেলে শিপন সিকদার এবং নবাব আলী মোল্লার ছেলে আবু বক্কার মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থানীয় আব্দুল্লাহ মীর, মোস্তফা কাজী, জুবায়ের শিকদার, হায়াত মীর এবং হেদায়েত মোল্লা আমার বাড়িতে গিয়ে মায়ের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে মাদক মামলায় হয়রানি করবে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ৯ অক্টোবর চিতলমারি প্রেসক্লাবে জনৈক আক্কাস আলী মীর স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এসকেন, সাদিকুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। অভিযুক্তরা সবাই ঢাকাতে বসবাস করে। দুঃখের বিষয় সংবাদ সম্মেলনে আমাদেরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আমাদেরকে চাঁদাবাজ, ভূমি দখলকারী এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত বলে উল্লেখ করে। তাছাড়া চিতলমারী বাজারের মসজিদের পিছনে নিয়ে আমাদেরকে মাদক বিক্রয়ের অফার দেয়। আমরা সম্মতি না দিলে আমাদেরকে মাদক মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। আমাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা কিংবা মাদক গ্রহণের কোন অভিযোগ নেই। তাছাড়া আমাদের এলাকার রহিম শিকদারের স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলা কারাগারে আটক স্থানীয় তন্ময় মীর। সে গত দুই মাস যাবত কারাগারে রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রফ চালাতে পারে তারা।
প্রতিপক্ষরা সঙ্গবদ্ধ, ৫ই আগস্টের পর থেকে তারা এলাকায় চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। তাদের ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকিও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকল মিথ্যা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো তারা।