চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বৈলতলী চরপাড়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগে জন দগ্ধ হন।
বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, অবৈধ গুদামে গ্যাস ক্রস ফিলিং’র সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বিকট শব্দ হয়ে গুদামে আগুল লেগে যায়। এ সময় স্থানীয়রা বিকট শব্দ শুনে চরপাড়ার দিকে ছুটতে থাকেন। সিলিন্ডারের গুদামে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চন্দনাইশের একাধিক স্থানে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডার ব্যবহার করে অবৈধভাবে ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন বৈলতলীর কবির আহমদের ছেলে গুদামের মালিক মাহবুবুর রহমান (৪৫), ছাদেক রহমানের ছেলে মো. সৌরভ রহমান (২৫), মো. আমিরের ছেলে মো. লিটন (২৮), ছৈয়দাবাদের মো. ইউনুস (২৬), মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. আকিব (১৭), নুরুল ইসলামের ছেলে মো. হারুন (২৯), মো. নাসিম মিয়ার ছেলে মো. ইদ্রিস (৩০), বাঁশখালীর মনজুর আলমের ছেলে মো. কফিল (২২), লোহাগাড়া পদুয়া আবদুর রহিমের ছেলে মো. রিয়াজ (১৭), মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. ছালেহ (৩৩)।
তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। আহত শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক শ্রমিকের জ্বলন্ত সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই সময় স্থানী-য়রা তাদেরকে সহযোগিতা করেন। চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের অফিসার সাবের আহমদ বলেন, ভোরে গুদামটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নির্ধারণ করা যাবে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে। চট্টগ্রাম বিস্ফোরক কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক এসএম শাখাওয়াত হোসেন জানান, অবৈধ গ্যাস ক্রস ফিলিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারে তারা সব সময় অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে এক সিলিন্ডার থেকে অন্য সিলিন্ডারে গ্যাস স্থানান্তর করার সময় অবৈধ গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ধ্বংসস্তূপে অনেক সিলিন্ডার জ্বলে পড়ে আছে। যারা এই অবৈধ ব্যবসা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈলতলীর চৌকিদার মো. ফরিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গুদামটিতে ৩ শতাধিক গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।
ইতিমধ্যে চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস ভরা হচ্ছে অবৈধভাবে। এই গ্যাস ভরার সময় ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানটিকে ২ দফায় মোবাইল কোর্টে জরিমানা করার পর নির্জন এলাকায় চরপাড়ায় গিয়ে গুদাম তৈরি করে। চন্দনাইশে ইতিপূর্বে অবৈধভাবে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় একাধিকবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক শ্রমিক দগ্ধ হন। স্থানীয়রা জানান, এ প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক মো. জালাল নামে আরেক ব্যক্তিও রয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh