কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল আজিজ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে । বুধবার (২ জুলাই) রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার মথুরাপুর স্কুল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল আজিজ (৩৫) দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের ইলু আলীর ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত পলাশ (২৮) কলেজপাড়া এলাকার রফিকুল আকরামের ছেলে। তারা দুজনই বিএনপি কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
স্থানীয়রা জানান, ভিজিএফের কার্ডের আবেদন করেছিলেন আব্দুল আজিজ। কিন্তু তার কার্ড হয়নি। কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আজিজের কাছে থেকে পলাশ ৪০০ টাকা নেন। কার্ড না হওয়ায় বুধবার রাতে পলাশের কাছে যান আজিজ এবং টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত না দেওয়ায় পলাশের সঙ্গে আজিজের বাগবিতণ্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পর পলাশ পরিকল্পিতভাবে আজিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় আজিজ। পরে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মথুরাপুর স্কুল বাজারে আজিজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে পলাশ। ভিজিএফের কার্ড দেওয়ার কথা বলে আজিজের কাছ থেকে ৪০০ টাকা নিয়েছিল পলাশ। কিন্তু অনলাইনে চেক করে দেখা যায় আজিজের কার্ড হয়নি। এ নিয়ে আজিজের সঙ্গে পলাশের দ্বন্দ্ব ও বাগবিতণ্ডা হয়। পরে পলাশ ছুরি দিয়ে আজিজের পেটে আঘাত করে। এতে আজিজের মৃত্যু হয়। নিহত আজিজ ও অভিযুক্ত পলাশ স্থানীয় বিএনপির কর্মী। এবং বিএনপি নেতা মাহাবুল মাস্টারের সমর্থক অভিযুক্ত পলাশ।
এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী, ভাই ও ভাবির সাথে কথা বললে তারা বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহাবুল মাস্টারের নির্দেশনায় আব্দুল আজিজ কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পলাশ ও তার লোকজন আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুষ্টিয়া র্যাব-১২ ও দৌলতপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মাহাবুল মাস্টারকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল আজিজ নিহত হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করে মাহাবুল মাস্টার নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ নিয়ে আমি মথুরাপুর এলাকায় আছি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আমরা কাজ করছি।