সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে চলছে ধোয়াশাচ্ছন্ন উন্নয়ন কাজ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ইকোপার্কের উন্নয়ন কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, পার্কে বর্তমানে সৌন্দর্যবর্ধন, পর্যটন সুবিধা উন্নয়ন, ডাস্টবিন বসানো, চলাচলের রাস্তা ও নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণসহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে এসব কাজের বরাদ্দ, প্রকল্প মেয়াদ কিংবা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট বন অফিসে গেলে কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন অফিস ভবন সংস্কার, রাস্তা ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের মতো একাধিক কাজ চলছে। পার্ক অফিস সংলগ্ন রাস্তার নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইটের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। কোথাও ঠিকাদার বা তাঁর প্রতিনিধি নেই, এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো দায়িত্বশীলকে সুপারভিশনে দেখা যায়নি।
অনেকক্ষণ পর পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন উপস্থিত হলে কাজের গুণগত মান ও প্রকল্পের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তিনি জানান, “আমার কাছে দালিলিক কোনো তথ্য নেই। পরিচালক বরাবর যোগাযোগ করতে হবে।”
পরে পরিচালকের দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, অফিস কক্ষ ফাঁকা, পরিচালক অনুপস্থিত। অফিস সহকারী তাঁর রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “পরিচালক ছাড়া কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। সব তথ্য পরিচালকের কম্পিউটারে সংরক্ষিত।” পরিচালককে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ফলে কোনও তথ্য না পেয়েই ফিরে আসতে হয়েছে সংবাদকর্মীকে।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে - কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের স্বচ্ছতা যদি নিশ্চিত না হয়, আর কাজের গুণগত মান যদি প্রশ্নবিদ্ধ থাকে, তবে তা জনগণের অর্থের অপচয় নয় কি?
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, “সরকারি অর্থে পরিচালিত কোনো উন্নয়ন কাজের তথ্য গোপন রাখার সুযোগ নেই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে দুর্নীতির সুযোগ থেকেই যায়।”