ঝালকাঠি "ক" শ্রেনীর পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামো বহির্ভূত নিম্নমান সহকারী বনাম মুদ্রাক্ষরিক থেকে একাধিক পদ ডিঙিয়ে সাঁট লিপিকার পদে পদোন্নতি পাওয়া মোঃ জাকির হোসাইন নিয়োগ,বাতিল চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভেযোগ দেয়া হয়েছে।
মোঃ জাকির হোসাইন,নিম্নমান সহকারী বনাম মুদ্রাক্ষরিক পদে লালমোহন পৌরসভা, ভোলা চাকুরীতে প্রথম যোগদান করেন। পরবর্তীতে একই পদে তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব মো: বেলায়েত হোসেন দায়িত্বে থাকাকালীন সময় ঝালকাঠি পৌরসভায় বদলী হয়ে আসেন। "ক" শ্রেনীর পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামোতে সাধারন শাখায় নিম্নমান সহকারী বনাম মুদ্রাক্ষরিক ২টি পদ আছে। উক্ত পদে (১) মোঃ আঃ মতিন খান এবং (২) সাহিদা পারভীন স্থায়ী কর্মরত ছিলেন।কিন্তু একই পদে মোঃ জাকির হোসাইন এর সার্টিফিকেট জাল-জালিয়াতি করে দুইটি পদের স্থলে ৩ জন যোগদান পেয়েছেন।
এ অভিযোগ এনে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার,ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক,দুর্নীতি দমন কমিশন,প্রশাসক ঝালকাঠি পৌরসভা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেন ঝালকাঠি পৌরসভার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক মোঃ শেখ আহমেদ সেলিম।
অভিযোগে বলা হয়,নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মোঃ জাকির হোসাইন ২০০৯ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝাইয়া সচিবের মাধ্যমে যোগসাজসে উক্ত জনাব মোঃ জাকির হোসাইন, সাঁট লিপিকারের জাল সার্টিফিকেট তৈরী করিয়া নিম্নমান সহকারী বনাম মুদ্রাক্ষরিক পদ থেকে একাধিক পদ ডিঙিয়ে সরাসরি সাঁট লিপিকার পদে পদোন্নতি গ্রহন করেছেন। যাহা সম্পূর্নভাবে পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামো বহির্ভূত। ফলে ঝালকাঠি পৌরসভা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচরছে।
অপরদিকে সাংগঠনিক কাঠামোতে পদবী থাকলেওে মোঃ শেখ আহমেদ সেলিম চাকুরী জীবনে পদোন্নতি বঞ্ছিত হয়েছেন। যা বিগত ০২/০৪/২০১৩ খ্রিঃ সহ একই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিক আবেদন করেও কোন প্রতিকার পায়নি। তাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে উল্লেখিত বিষয়ে পুনরায় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় সু-ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করেছেন মোঃ শেখ আহমেদ সেলিম মল্লিক।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুদ্দোজা হারুন বলেন,আমিও অভিযোগটি হাতেপেয়েছি। পৌর প্রশাসক মহোদয় তিন দিনের ভিতরে একটি মন্তব্য দিতে বলেছেন,সেই অনুযায়ী আমি প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি প্রতিবেদন দিয়েছি পরবর্তী উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।