২৪৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করে সেই মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার বিরুদ্ধে। তবে কমিটির অন্য নেতারা বলছেন, এই মামলা ও চাঁদা দাবির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির অন্য নেতারা কোনোভাবে জড়িত নয়। যিনি এই মামলা দায়ের করেছেন তাকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হয়েছে তারা তথ্য প্রমাণর ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সোমবার (১৯ মে) বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত ১৪ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মারজুক আব্দুল্লাহ বরিশাল কোতোয়ালি থানায় বিভিন্ন উপজেলার ২৪৭ ব্যক্তির নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার সঙ্গে জেলা কমিটির আহ্বায়কসহ অনান্যরা কোনোভাবেই জড়িত না এবং জেলা কমিটির সদস্যরাও জড়িত নয়। কিছু কুচক্রীমহল কমিটির আহ্বায়কসহ কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তারা মনে করছেন এটি পরিকল্পিত। বিএম কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতেই কিছু মহল এমনটা করছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যদি এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন অপপ্রচারের বিষয়ে বলেন, এ বিষয়ে তারা অবগত নন। যদি তাদের মধ্য কেউ এমন কিছু করে তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।