মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান কামালকে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার বিকেলে একটি রাজনৈতিক মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামি হিসাবে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গত বছরের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ইউপি চেয়ারম্যান উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে কামাল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সে সময় দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা রোধে কারফিউ জারির কারণে নির্বাচন কমিশন ওই উপ-নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুলিশ গ্রেফতার করে মুহিবুর রহমান কামালকে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য দাবি করলেও তার পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের দাবি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নন। একসময় তিনি জাতীয় পার্টি করলেও ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠেন। তারই এলাকায় মুহিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১০ বছর আগে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ওই মুহিবুর রহমান অনেক মারা গেলেও স্থানীয় বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার অজ্ঞাতনামা আসামির উল্লেখ থাকায় পুলিশ অনেক নিরীহ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে এসব মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠাচ্ছে। ঠিক এভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকা স্বত্তেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান কামাল পুলিশের ‘সন্ধিগ্ধ’ অস্ত্রের শিকার হয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আবুল কাশেম সরকার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত বছরের একটি জি.আর মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি হিসাবে মুহিবুর রহমান কামালকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।