শিক্ষক-কর্মচারী, শ্রেণিকক্ষ আছে সবই । কিন্তু তালাবদ্ধ কলেজের প্রতিটা কক্ষ। যেখানে থাকার কথা ভরপুর ছাত্রদের আনাগোনা ও পাঠদানের গুনগুন সেখানে বিচরণ করে এখন শুধু গবাদি পশু। কলেজে আসেন না কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আর তাই এখানে হয় না কোনো পাঠদান। এভাবেই চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের কালিনগর এলাকার আর্দশ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০২২ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। কলেজটিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন এবং কর্মচারী রয়েছে ১ জন।
সরেজমিনে বুধবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কলেজটিতে গিয়ে গিয়ে দেখা যায় ক্লাসরুমসহ সকল কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কাউকে পাওয়া যায় নি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় সারা বছরই কলেজটি তালাবদ্ধ থাকে এটাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে মনে হয় না। কলেজে না এসে কোন ক্লাস না করেই বেতন নিচ্ছেন শিক্ষকরা। মাসে ১-২ দিন নামমাত্র কলেজের অফিস কক্ষ খুলে। অথচ এ কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।
স্থানীয় সুমন নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি এইদিক দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করি কলেজটি এভাবেই দেখছি। এখানে কোনো দিন পাঠদান হতে দেখিনি এবং সবসময়ই তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে কলেজটি। মাসে ২-১ দিন অফিসকক্ষ খোলা হয়।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসানুল মান্না'র কাছে এ বিষয়ে ফোন কলে জানতে চাইলে কলেজের কাজে শেরপুর আছেন বলে জানান, কলেজ তালাবদ্ধ কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের লোকবল কম আমরা ৪ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছি। একজন শিক্ষকের বাচ্চা অসুস্থ সেজন্য তিনি আসতে চায় না বলে দায় এড়িয়ে যান তিনি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন, অভিযোগ পেলাম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।