আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর একমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দায় স্পন্দন কমিউনিটি সেন্টারেনএ মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয়ক ডা: মাহমুদ হোসেন (নাসিম) এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. মফিজুর রহমান-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য সমন্বয়ক ড.মফিজুর রহমান বলেন, আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি বিধায় আপনাদের মাঝে অনেক ক্ষোভ। শুধু কর্মসূচি দেওয়ার জন্যই আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ তৈরি হয়নি।হয়েছে লক্ষ্য অর্জন করতে। প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে প্রায় ৫৩ হাজার বড় একটি সংখ্যা। ঊর্ধ্বতন সকলের কাছে আমরা গিয়েছি। সবাই বলছে, ক্যাডারদের মধ্যে যে বৈষম্য বিরাজমান, সেটা লক্ষণীয়। আপনাদের দাবি যৌক্তিক। সকলের কাছে আমরা সহযোগিতা চেয়েছি, অনেকটা পেয়েছি। আমরা আমাদের জায়গায় তৈরি করে ফেলেছি প্রায়। ঢাকায় কর্মসূচিগুলোতে অন্যান্য সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেটা জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে দেখা যায় না। জেলা পর্যায়ে অনেক পদ বা অফিস থাকে না। আন্ত:ক্যাডারে কোনো বৈষম্য বা কোটা নয়, সমতা চাই। আমরা মেধার বাংলাদেশ চাই। আপনারা সাথে থাকলে আমরা আমাদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবো।
কেন্দ্রীয় নেতা মো: মনিরুল হক (কৃষি ক্যাডার) বলেন, আমাদেরকে যা দেয়া হয় তাই মেনে নেই। সেবামুখী সিভিল সার্ভিস চালু করতে হবে। রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করতে হবে। কেউ কেউ ১৫ বছরের অধিক একই পদে রয়েছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার বা দাবি আদায়ে আমরা অন্যায় কিছু করছিনা।
উপস্থিত কর্মকর্তারা বক্তব্যে বলেন, আমরা ২৫ ক্যাডারের লোকজন অনেক সেবা দেই। আমরা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কখনো যাচাই বা ক্ষমতা দেখাই না। সেটাকে দুর্বলতা মনে করে কেন আমরা বৈষম্যের শিকার হব। কোথায় কী বৈষম্য রয়েছে রাষ্ট্রের সেটা দেখা উচিত। বৈষম্য নিরসনে এখন থেকেই আমাদের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। নিরসনের চাইতে বৈষম্য আরো বেড়ে গেছে। নীতি নির্ধারকরা নিরসনকল্পে গড়িমসি করছে। আমাদের মোমেন্টাম নির্ধারণ করতে হবে। অনেকেই সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। আমাদের পিছিয়ে থাকলে হবে না। দাবি আদায়ে সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতি বলেন, বৈষম্য নিরসনে চাহিদা আছে কিনা সেটা আমাদের অনুভূতিতে আসতে হবে। রাষ্ট্র যে সুযোগ সুবিধা দেয় তা সবাই যেন সমানভাবে পাই। যারা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তাদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ক্যাডারদের মধ্যে আন্ত:বৈষম্য নিরসন করতে পারলে, মূল লাভবান হবে জনগণ। প্রকল্প নয়, যেখানে প্রয়োজন সেখানে পদ সৃজন করা যেতে পারে। দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে ভিডিও কনটেন্ট বানানো যেতে পারে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দেখা করে দাবি আদায়ের ব্যাপারে আমাদের কাজ করা উচিত।