প্রায় দশ বছর ধরে রমজান মাসে সাইকেলে করে মাইক বেঁধে সেহরি খাওয়ার জন্য মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষদের ডেকে তোলেন আবদুল্লাহ। তিনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাসিন্দা এবং তাঁর মাইকিং শুনে তিস্তা চরসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠে। এই কাজের জন্য তিনি কোনো টাকা নেন না।
এছাড়া, এলাকার কেউ মৃত্যুবরণ করলে আবদুল্লাহ বিনামূল্যে মাইকিং করে জানান। তাঁর এই সাহায্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি পুরো এলাকায় অত্যন্ত প্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।
আবদুল্লাহ সানিয়াজন ইউনিয়নের শেখ সুন্দর গোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, "রমজান মাসে আবদুল্লাহ রাত জেগে প্রতিদিন সেহরির সময় মাইকিং করে মুসলমানদের ডেকে তোলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই কাজটি করে যাচ্ছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।"
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আল ইমরান বলেন, "প্রতিবার রমজান মাসে সেহরির সময় আবদুল্লাহ আমাদের ডেকে তোলেন। এর ফলে আমরা সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠে সেহরি করতে পারি।"
এ বিষয়ে আবদুল্লাহ জানান, "আমি সম্মানির জন্য এই কাজ করি না। এটি আমি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি ও সওয়াবের জন্য করি। ২০১৫ সাল থেকে রমজানে মাইকিং শুরু করেছি এবং গত ১০ বছর ধরে কোনো দিনও বাদ দিইনি। আল্লাহর রহমতে অসুস্থতা কিংবা খারাপ আবহাওয়া কিছুই আমাকে বিরত রাখতে পারেনি। যতদিন বাঁচব, এই কাজটি করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।"
সানিয়াজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আবদুল্লাহ এই কাজটি করছে এবং তার কারণে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা উপকৃত হচ্ছে। তার এই কাজে আমি সাধুবাদ জানাই।"