× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হাওরে উন্নয়ন প্রকল্পে সফল এলজিইডি, চলছে কর্মযজ্ঞ

ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।

২৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪৭ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে মানুষের যাতায়াত ও জীবনমান উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র আওতায় কয়েক’শ কোটির টাকার বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাকী আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে চলছে কর্মযজ্ঞ।

এর আগে হাওর এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও অনেকটা ছিল এলোমেলো। অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এসব উন্নয়নের প্রকৃত সুফল পাচ্ছিল না হাওরবাসী। কৃষিপণ্য পরিবহনে ও চলাচলের দুর্ভোগের কারণে পর্যটকদের আবাসন সমস্যায় গতি পায়নি সেখানকার অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতে ঐসব খাত চাঙ্গা করতে হাওরে চলছে উন্নয়নের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।

এলজিইডি সূত্রে জানাযায়, (১) মিঠামইন কামালপুর ফেরি ঘাটে ঘোড়াউত্রা নদীর উপর ১৪৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যায় ১০০২ মিটার লম্বা ফেরি ব্রীজটির কাজ ২০২২ ইং সালের ১৬ নভেম্বর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে। (২) মিঠামইন কাজীপাড়া মহিষার কান্দি রোড ঘোড়াউত্রা নদীর ৩৬২ মিটার লম্বা, ৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যায় ব্রিজটি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয়ে এর মেয়াদ শেষ হবে জুন ২০২৫ ইং তারিখে। (৩) মিঠামইন রেস্ট হউজ নির্মাণ প্রকল্পটি ২৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যায় ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে শুরু হয়ে শেষ হবে জুন ২০২৫ ইং তারিখে। (৪) মিঠামইন বাজারে ৪তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ২তলা মার্কেট নির্মান প্রকল্পটি ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যায় নির্মান কাজ শুরু হয়ে মে-২০২৪ ইং সালে এর কাজ শেষ হবে এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে। (৫) ইটনা বর্শিকুড়া ঘোড়াউত্রা নদীর উপর নির্মিত ৫৯০.৫৪ মিটার সেতুটি ৯৮ কোটি টাকা ব্যায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে এখন শেষ পর্যায়।

এ ছাড়াও নির্মিত হচ্ছে বেশকিছু সেতু, সড়ক ও পর্যটকদের আবাসনের জন্য সার্কিট হাউজ। আর কয়েকশ কোটির টাকার এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি।

মিঠামইন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মো. নূর হোসেন ও আবু হোসেন বলেন, আমাদের মিঠামইনে‘এই ব্রিজটি হওয়াতে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে নৌকা দিয়ে পার হতে হতো। এখন আমরা ধান ও গরু ছাগল নিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারি। শুধু আমরা না এই মিঠামইনে যত মানুষ আছে সবারই উন্নতি হয়েছে। এখানে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) আছে। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা ট্রেনিং দিতে আসে। আগে কিশোগঞ্জ যাওয়া লাগতো; এখন আর যেতে হয় না। ব্রিজটি হলে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের নৌকা দিয়ে নদী পার হতে হবে না।’

ইটনা উপজেলার বড়শিকুড়া গ্রামের আব্দুল গনি বলেন, আমরা যে গ্রামে থাকি সে গ্রামে কোন মহিলা গর্ভবর্তী হলে খুব সমস্যা হতো। যাতায়াতে খুব ঝামেলা হতো। এই ব্রিজটা হওয়ায় সবচেয়ে বেশি উপকার পাবে গর্ভবর্তী মহিলারা। আর এই ব্রিজটি হওয়ায় বর্ষাকালে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। বিশেষকরে হাওর এলাকায় পর্যটকদের বিনোদনের একটি কেন্দ্রবিন্দু সৃস্টি হবে।

ইটনা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, বর্শিকুড়া গ্রামের দীর্ঘদিন যাবত মানুষ একটি সেতুর অভাবে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এই সেতুটি চালু হলে বহু বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে হাওরের লোকজন।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকায় এলজিইডি কর্তৃক আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ইতেমধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ চুড়ান্ত পর্যায়। আমরা আশা করছি ঠিক সময়ের মধ্যেই এগুলো শেষ করব। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে হাওরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হবে। তাদের চলাফেরা সহজ হবে। বিশেষকরে কৃষিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রকল্প গুলো জোরালো ভুমিকা রাখবে। আমরা কাজের গুণগতমান বজায় রেখে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.