সাম্প্রতিক সময়ে খুলনায় দুই আলোচিত হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। আধিপত্য বিস্তার ও পরকীয়ার জেরে এসব হত্যাকান্ড বলে জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দুই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ কুতুব উদ্দিন বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব সরকারকে। এক মাস যাবৎ পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিবিড় তদন্ত করে অর্ণব হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সমর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ এই মামলার ৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। দুই আসামি আদালতে অর্ণব সরকার হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নগরীর সোনাডাঙা এমএ বারী সড়কে বেসরকারি সিম কোম্পানির সেলসম্যান আল-আমিন শেখ ইমন হত্যায় জড়িত মূল আসামি বিশ্বজিৎ সাহাকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, খুলনা বড় বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহার নিহত আল-আমিনের স্ত্রী লামিয়ার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো।। আল-আমিন ঘাটনাটি জেনে ফেলে এবং বিশ্বজিৎ শাহাকে ফোন করে কড়াভাষায় গালাগালি করে।
এর ফলে আল-আমিনকে শায়েস্তা করার জন্য বিশ্বজিৎ শাহা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পূর্বের কর্মচারী নাইম ও মুন্সিকে ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করে। ঘটনার দিন সকাল ৮টার সময় তিনি, নাইম ও মুন্সী সোনাডাঙা ট্রাকস্ট্যান্ড কাচা বাজারের সামনে উপস্থিত হন। এ সময় আল-আমিন মোটরসাইকেল করে সোনাডাঙা ২২ তলার সামনে পৌঁছালে বিশ্বজিৎ সাহা ইমনকে চিনিয়ে দিলে মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় নাইম ও মুন্সি আল আমিনের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়। বাকি দুই আসামি ধরতে কাজ করছে পুলিশ।