কুড়িগ্রামে চিলমারীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা দায়েরের পরও নাহিদ হাসান নলেজকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে থানাহাট বাজার মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন তারা। তৌহিদী মুসলিম জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।
জানা গেছে, গত ২২ ফেব্র্রুয়ারি (শনিবার) নাহিদ হাসান নলেজ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অন্যতম সদস্য আলোচিত রাখাল রাহার ফেসবুক পোস্টের স্কিনশর্ট দিয়ে মহানবী (সাঃ)কে কুটূক্তি এবং হাদিসকে ভুয়া ও জাল বলে পোস্ট করেন। পরে পোস্টটি ডিলেট করে আবার ওই বিষয়ে পরপর দুটি পোস্ট দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওইদিন (শনিবার) রাতে চিলমারীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরদিন রবিবার রাতে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের দোয়েল চত্ত্বরে সর্বস্তরের তৌহিদী মুসলিম জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় নাহিদ হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৌহিদী জনতা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. আব্দুল আজিজ সরকার, কারী আবু সাইদ, অধ্যাপক হযরত আলী, মিজারুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি সাব্বির আহম্মেদ প্রমুখ।
এ ঘটনায় গত রবিবার থানায় নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন গোলাম মোস্তফা (৫৪) নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারি গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।
নাহিদ হাসান নলেজ (৪৫) চিলমারী উপজেলার রমনা মিস্ত্রিপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি একাধারে শিক্ষক, কলামিষ্ট ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশাহেদ খান বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। নাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, আমি বাহিরে একটা প্রোগ্রামে। তবে অফিস থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি।