রংপুরসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান তারা। অন্যথায় আগামীতে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।
আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর মহানগরীর টাউন হলের সামনের সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী।
এ সময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় বসে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষককের ফাঁসির দাবিতে ‘ধর্ষকের কালো হাত-ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ধর্ষকের ঠিকানা-এই বাংলায় হবে না’; ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই-ধর্ষকের ফাঁসি চাই’; ‘আমার বোন রাস্তায় চলবে-নিরাপদে ঘরে ফিরবে’; মা বোনের নিরাপত্তা দে-নইলে গদি ছেড়ে দে’; ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ধর্ষকের কুশপুত্তলিকার ফাঁসি দেওয়া হয়।
সড়ক অবরোধে অংশ নেওয়া কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাসনিম খান বলেন, এ দেশে এখন শিশুরাও নিরাপদ না। মিঠাপুকুরে চার বছরে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমরা কোন সমাজে বসবাস করছি? যেখানে শিশুরাও অনিরাপদ। নারীরা রাস্তাঘাটে নিরাপদে বের হতে পারে না। এ দেশে জুলাই আন্দোলনে মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সরকার কেন অপরাধীদের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে না। আমরা চাই না আর কেউ ধর্ষিত হোক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মোতাওয়াক্কিল বিল্লাহ বলেন, দেশে দিন দিন ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে অথচ প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ছাত্র-জনতা বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের দাবিও জানান।
এরআগে দুপুরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ধাপ চেকপোস্ট মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। অন্যদিকে একই সময়ে মিঠাপুকুরে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান। কর্মসূচি থেকে সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি-রাহাজানিসহ সব ধরনের অরাজকতার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।