শেরপুরে বেপরোয়া গতির একটি মাইক্রোবাসের চাপায় ২ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও ৬ জন। শনিবার দিবাগত রাতে শহরের অষ্টমীতলা মোড়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছেন শহরের কালার ডিজিটাল ল্যাবের কর্মচারী শহরের দুর্গা নারায়ণপুর এলাকার সঞ্জিত দের ছেলে গৌরব দে (২৫) ও সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়াপরাণপুর গ্রামের রনি (১২)।
আহতদের মধ্যে ল্যাবের মালিক শহরের নিউমার্কেট বাগবাড়ী এলাকার বাশার মিয়ার ছেলে শুভ (২০), সদর উপজেলা পাকুরিয়া ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের হাসেম আলী স্ত্রী রানী বেগম (৪৪), বয়রা পরানপুর গ্রামের ফরহাদ আলীর ছেলে মো. মজনু মিয়া (২৮), শহরের চাপাতলী এলাকার চাঁদ আলীর ছেলে মো. রায়হান (৩৫) কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আহতদের মধ্যে শুভর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাস শেরপুর শহর থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে অষ্টমীতলা মোড়ে প্রথমে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। পরে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেল এবং আরও একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই রনি নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে গৌরব নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া শুভ নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাসের চালকসহ মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা পালিয়ে যায়। তবে মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম জানান, জেলা সদর হাসপাতালে নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।