× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

জৈন্তাপুরে রাজুর বাগান থেকে নিজ হাতে বরই পেড়ে কিনছেন ক্রেতারা

সাইফুল ইসলাম বাবু ,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি ।

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৪ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

জৈন্তাপুর উপজেলার মোকাবাড়ী আলুবাগান এলাকার মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলির ছেলে জালাল আহমেদ রাজু একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা।২০২১ সালে তার বাবা সাড়ে চারবিঘা জমিতে বরইয়ের কয়েক হাজার চারা রোপন করেছিলেন। 

বানিজ্যিক ভাবে করা এই বাগানটিতে বরই গাছ গুলোতে ফলন আসার পূর্বেই ২০২৩ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পরবর্তীতে বরই বাগানের বানিজ্যিক পরিচর্যা ও দেখভাল শুরু করেন তার বড় ছেলে রাজু।

কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের ফলাফল সরূপ ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বানিজ্যিক ভাবে বরই বিক্রি শুরু করেন তিনি।প্রথম বছরে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার বরই বিক্রি করেন তিনি। মৌসুম শেষ হয়ে এলে নিয়ম অনুযায়ী বরই গাছের ডালপালা ছাটাই করে পরের বছরের জন্য শুরু করেন বছরজুড়ে পরিচর্যা। 

পরিচর্যা শেষে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বরইয়ের ফলন ভালো হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে তার বাগানে দেখা যায় গাছের থোকায় থোকায় বলসুন্দরি,বাউকুল,আপেলকুল ও নারকেলকুল জাতের বরই ঝুলে রয়েছে।

গতবারের মত এবারও ক্রেতারা সরাসরি বাগানে এসে নিজ হাতে পছন্দসই বরই পেড়ে কিনে নিয়ে যেতে পারছেন। পাশাপাশি বাগানে থেকে গাছ হতে বরই পেড়ে খেয়ে দেখার বা মিষ্টি পরীক্ষা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

স্হানীয় সংবাদকর্মী ইমাম উদ্দিন বলেন, রাজুর বরই বাগান যে জায়গাটিতে অবস্থিত সেখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর সবুজে ঘেরা। অবসরে কিংবা ছুটি কাটাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মোকামবাড়ী আলুবাগান এলাকায় রাজুর বরই বাগানটি খুব উপযোগী জায়গা। পাশাপাশি সরাসরি নিজ হাতে বরই সংগ্রহ করার মত সুযোগ অন্য কোথাও নেই বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জালাল আহমেদ রাজু বলেন, তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সফল কৃষক ছিলেন। তার একটি স্বপ্ন ছিলো সুন্দর একটা বরই বাগান করার। কিন্তু আকষ্মিক মৃত্যুতে সেই স্বপ্ন তিনি দেখে যেতে পারেন নি। তিনি বলেন প্রতি কেজি বরই ১৫০-১৬০ টাকা কেজী দরে বিক্রি করা হচ্ছে।  ক্রেতা নিজ হাতে বরই সংগ্রহের পাশাপাশি বাগানে থেকে বিনামূল্যে বরইয়ের স্বাদ পরীক্ষা করতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ টাকার বরই তিনি বিক্রি করেছেন। কিন্তু সারা বছরজুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম সেচ, সার দেয়ার কারণে উৎপাদন ব্যায় একটু বেশি বহন করতে হয়। তাই জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিকট  তিনি আহবান জানান ভর্তুকি মূল্যে একটা আধুনিক কৃষি সেচযন্ত্র যদি তাকে সরবরাহ করা হয় তাহলে উৎপাদন খরছ কিছুটা কমে আসতো।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.