জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তার ফ্যাসিবাদের বোঝা বয়ে চলেছেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। দীর্ঘ ১৩টি বছর তিনি কারাগারে বন্দিজীবন কাটিয়ে আসছেন। আমরা তার এখনই মুক্তি দাবি করছি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আজহারকে মুক্তি দেওয়া না হলে স্বেচ্ছায় নিজেকে কারাবাসের পূণঃঘোষণা দিয়ে বলেন, না হয় সাড়ে ৩ কোটি মানুষকে জেলে নিন।
আজ শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত গণ জমায়েত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তিনি বলেন।
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, লক্ষ্মীপুরকে একটি কুখ্যাত পরিবার সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছিলো। মানবিক ডাক্তার জামায়াত নেতা ডা. ফয়েজ আহমেদসহ অসংখ্য মানুষ খুন করে তারা। ৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। সোনার বাংলার বিপরীতে শ্মশানের বাংলা তারা উপহার দিয়েছে। ২৪'র আন্দোলনে ছাত্ররা বুক ভরা আশা ও বিশাল স্বপ্ন নিয়ে স্বৈরাচার হটিয়েছে।
জেলা জামায়াত আমীর মাস্টার রুহুল আমিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ওষুধ শিল্প সমিতির সেক্রেটারি ডা. আনোয়ারুল আজিম, কুমিল্লা অঞ্চল পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী ভুইয়া, মাওলানা আলা উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর জেলা নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্যাহ ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান।
জেলা সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, শহীদ ডাক্তার ফয়েজ আহমদের ছেলে ডা. হাসানুল বান্না, ফেনী জেলা আমীর মুফতি আবদুল হান্নান, নোয়াখালী জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, লক্ষ্মীপুর জেলা সহ-সেক্রেটারী মাওলানা নাসির উদ্দীন, এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, আবুল ফারাহ্ নিশান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক আরমান হোসেন ও শিবিরের শহর সভাপতি ফরিদ উদ্দিন।