সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। শহরের খরপট্টি এলাকায় তার বাসায় এসব ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ অফিসকে এক্সকাভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অংশ নিয়েছে ছাত্র-জনতার একটি দল। এ ঘটনায় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ সময় জেলা শহরের খড়মপট্টি, উকিলপাড়া, গৌরাঙ্গ বাজার ও স্টেশন রোড এলাকাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঘণ্টাখানেক বিদ্যুৎ ছিল না। ভাঙচুর করা সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িসহ হামলা করা অন্য জায়গা থেকে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককে।
এর আগে দুপুরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদর বাজার মোড়ে স্থাপিত সাবেক চার রাষ্ট্রপতির ম্যুরাল ভাঙচুর করে ছাত্র-জনতা। এ সময় সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ভাঙচুর ও লুটপাটের ভয়ে দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নেন। দুপুরের দিকে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও রেজিস্ট্রি অফিস-সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভেতরে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, গত জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েও খুনি হাসিনা দেশবিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তাই কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব রাখা হবে না। খুনি স্বৈরাচার হাসিনার কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে দেখতে চায় না দেশের মানুষ।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িসহ কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার বা মামলা হয়নি।”