গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ১১ বছর আগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফা (৩৭) ও ফরহাদ লিখন (৩৯) নামের দুই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানোর নিদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ (২১ জানুয়ারী) দুপুরে গাইবান্ধা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ হোসেন তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, ওই সাংবাদিকরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাংবাদিক রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফা বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে প্রকাশিত “সকালের বানী” পত্রিকার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন “গোবি খবর” এর সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। অপরদিকে ফরহাদ লিখন “দৈনিক আলো প্রতিদিন” পত্রিকার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাংবাদিকের আইনজীবি মাহফুজার রহমান প্রধান মামলার বরাত দিয়ে জানান, সুমন একজন প্রবীন সাংবাদিক ২০১৪ সালের মারধরের ঘটনায় গত বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মারধর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন তাহারাত তানভীর নামের এক ব্যক্তি। এ মামলায় সাংবাদিক রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়।
সাংবাদিকের পারিবারিক সুত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১১ বছর পর প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রমুলক এ মামলায় রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফাকে জড়ানো হয়েছে। তাদের দাবি, বিভিন্ন সময়ে খবর প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলায় নাম দেওয়া হয়েছে। হয়রানি করতেই এই মিথ্যা মামলায় তাদের নাম দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে জানিয়েছে তাদের পরিবার।