কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের,কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম টম(মাষ্টার)এর মেয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম এর লক্ষ্য জেলার দৌলতপুর উপজেলাতে প্রয়োজন মত বিভিন্ন মন্ত্রনালয় থেকে সর্বোচ্চ "উন্নয়ন বাজেট" দৌলতপুরে জনগনের জন্য বের করে আনা।দৌলতপুর উপজেলা হিসেবে আকারে ও জনসংখ্যায় বৃহৎ হওয়ার পরেও বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার এই উপজেলা, তাই এটা নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করার প্রতিস্রুতি দিয়েছেন বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
এরই মধ্য দৌলতপুর উপজেলার নদীভাঙন এলাকাগুলোর মধ্যে ফিলিপনগর,মরিচা ইউনিয়নগুলোর জন্য বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প এলাকার মানুষের নদী ভাঙ্গন এর ফলে দূরাবস্থা তুলে ধরে মন্ত্রণালয় থেকে"উন্নয়ন প্রকল্প"বের করে এনেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প উপজেলার মরিচা ইউনিয়নে।তবে মরিচা ইউনিয়নের এলাকাবাসীর জন্য স্বচ্ছভাবে কাজ করার বিষয়টি স্পষ্ট অবগত করেছেন কুষ্টিয়া জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ইতিপূর্বে একাধিক স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-বাগোয়ান মধ্যপাড়া বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদ,বাগোয়ান মধ্যপাড়া বাইতুল জান্নাত গোরস্থান,বাগোয়ান মধ্যপাড়া বাইতুল জান্নাত ঈদগাহ,ডাংমড়কা বাগোয়ান দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা,ডাংমড়কা শারদীয়া দুর্গা মন্দির, ডাংমড়কা গোপালপুর শ্মশান,এ সকল সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্য প্রেরণ এবং দৌলতপুরের ১৪টি ইউনিয়নে দুই হাজার শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন।
এছাড়াও গত ১৪ জানুয়ারি,২০২৫ ইং তারিখে চিলমারী ইউনিয়নে কম্বল বিতরণকালীন সময়ে এলাকাবাসী কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমের কাছে দাবী করে ভাগজোত বাজার থেকে চিলমারী পর্যন্ত পাকা রাস্তা এবং সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে।
এই মর্মে ইতোমধ্যেই কিছু উদ্যোগ দেখা গিয়েছে।এই এলাকাবাসী উদয়নগর থেকে বাজুমারা পর্যন্ত বাঁধের জন্যও তার কাছে অনুরোধ করে।
এলাকাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে এসকল বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বলে কথা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
নুসরাত বলেন ,আমাদের দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রাগপুরের একাংশ,রামকৃষ্ণপুর,চিলমারী,মহিষকুন্ডির একাংশ,ফিলিপনগর,মরিচা ইউনিয়ন গুলোর নদীভাংগনে বসবাস চিত্র স্বাভাবিক নই।এর জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন,কৃষি,বিদ্যুৎ,শিক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা,ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ এবং সড়ক নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে জনগণের জন্য মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ দপ্তরে আমার আবেদন ও দাবির মাধ্যমে জনগনের স্বার্থে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবো।
তবে আমি শুধু আপনাদের বলবো-আমি ব্যক্তি উন্নয়নে বিশ্বাসী নই,দৌলতপুরে ১৪ টি ইউনিয়ন মিলে একটি বৃহৎ উপজেলা,এই উপজেলার এতদিনের বৈষম্য নিরসন এলাকার সামাজিক ও অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও জনগণের পাশে থাকা আমার মূল লক্ষ্য।
তাই দেশবাসী তথা এলাকাবাসী যদি আমার পাশে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমি বৈষম্যহীন সুন্দর দৌলতপুর আপনাদের আগামীতে উপহার দিতে পারব।