রংপুরে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে কৃষি উপকরণ সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশকের দাম কমানো, কৃষকের কাছ থেকে লাভজনক দামে সরকারি উদ্যোগে ফসল ক্রয়, বিএডিসিকে শতভাগ কার্যকর, ভূমিহীনদের আবাসনসহ ১১দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আজ (১৩ জানুয়ারি) সকালে সংগঠনের সভাপতি কমরেড মমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর জেলা বাসদের আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, মিঠাপুকুর উপজেলার সমন্বয়ক আতিয়ার রহমান, ছাত্রনেতা যুগেশ ত্রিপুরা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এদেশের কৃষক সমাজ আশা করেছিল দুর্দশা লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হবে, গঠিত হবে একটি কৃষক বান্ধব "কৃষি কমিশন"। প্রায় ডজনখানেক কমিশন গঠিত হলেও কৃষিখাত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। কৃষকরা উচ্চমূল্যে কৃষি উপকরণ কিনে উৎপাদন করছে কিন্তু খোদ মৌসুমে লাভজনক দামতো দুরের কথা উৎপাদন খরচই তুলতে পারছে না।সিন্ডিকেট না ভাঙ্গায় কৃষক কিনতেও ঠকছে,বেঁচতেও ঠকছে।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারি উদ্যোগে খোদ কৃষকের কাছ থেকে লাভজনক দামে শস্য ক্রয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সিন্ডিকেটের হাতে বাজার ব্যবস্থা জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের বেধে দেয়া দামে কৃষকরা ভরা মৌসুমে ধান, আলু,বেগুন,মরিচ,কপিসহ অনেক ফসল বেঁচতে বাধ্য হচ্ছে।একদিকে সার,বীজ, কীটনাশক, বিদ্যুৎ, ডিজেল, সেচের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে ভেজাল বীজ, কীটনাশকে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই।এভাবে চলতে পারে না।নেতৃবৃন্দ বলেন অবিলম্বে "কৃষি কমিশন " গঠন ১১দাবি বাস্তবায়ন করুন।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি মিছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপি ডিসির মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করা হয়।