গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে রাজাবিরাট বাজারে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান শুধু জন প্রতিনিধি নয় তিনি একজন শিক্ষক। গত ৩ জানুয়ারী নিজের ক্রয়কৃত জমিতে মাটি ফেলছিল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল, তখন স্থানীয় সাঁওতালরা উক্ত জমি নিজেদের দাবি করে মাটি ফেলতে বাধা দেয়। চেয়ারম্যান বিষয়টি জানার জন্য আসে, পরে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে হাতা হাতি হয়।
ইউনিয়নবাসীর দাবি সাঁওতালরা পরিকল্পিত ভাবে চেয়ারম্যানকে ফাঁসিয়েছে। তারা বলেন আমাদের চেয়ারম্যান একজন ভাল মানুষ সে কখনো কারো গায়ে হাত দিতে পারে না এবং কারো বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করতে পারে না এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পরেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সাওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ এবং নারী নির্যাতনের দায়ে গত ৮ জানুয়ারী ঢাকা থেকে আটক হন ইউপি চেয়ারম্যান।
আমরা চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
উল্লেখ্য : গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সকালে গোবিন্দগঞ্জের রাজাবিরাট গ্রামের ক্রয়কৃত জমিতে মাটি ভরাট করছিলেন রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। মাটি ভরাট করা দেখে হঠাৎ কয়েকজন সাঁওতাল যুবক বাধা দেন। পরে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় । এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন ও জমি দখলের দায়ে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে, ৬ জন ও অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের নামে মামলা করা হয়।
৮ জানুয়ারী উচ্চ আদালতে জামিন নিতে ঢাকায় গেলে সেখান থেকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
চেয়ারম্যান আটকের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাজাবিরাট বাজারে এক বিশাল মানবববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবি পরিকল্পিত ভাবে ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসিয়েছে সাওতালরা। আদিবাসী ট্যাগ লাগিয়ে তারা যা-ইচ্ছা তাই করছে। এসময় বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা বেগম তিনি বলেন, আমাার স্বামী একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। তিনি কারো গায়ে হাত দিবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। আমার স্বামীকে সাওতালরা মারধর করে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় পলাশ বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আমলে সাওতাল,হিন্দু,খ্রিষ্টান,মুসলমান দলমত নির্বিশেষে সকলে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাাচিত করেছেন। তিনি একজন ভাল মানুষ না হলে জাতীয়তবাদী দলের একজন কর্মী হয়ে চেয়ারম্যান হতে পারতো না। তাই আমরা আমাদের চেয়ারম্যানকে ফেরত চাই, নিঃশর্ত মুক্তি চাই।