× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কোন বিশেষ গোষ্ঠিকে সহযোগিতার জন্য নামি নাই

মৌলভীবাজারে সিইসি

মো: আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।

০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪০ পিএম । আপডেটঃ ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪১ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ, এম, এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো আমরা কোন দলকে, কোন গোষ্ঠিকে, কোন ব্যক্তিকে সহযোগিতা করার জন্য, ভোটে জিতানোর জন্য অথবা কোন ব্যক্তি যাতে না জিততে পারে সেটার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা নামি নাই।

আমরা নেমেছি একটা সুন্দর নির্বাচন দেয়ার জন্য। এজন্য আমি একটা সঠিক ভোটার তালিকা চাই। আমরা কিন্তু ঘোষনা দিয়ে আসছি যে আমরা বাড়ি বাড়ি যাবো। এখন কোন একটা স্কুলের কেন্দ্রে বসে লোকজনকে ডেকে এনে এক্ষত্র করে কিন্তু বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়। তো আপনারা যারা সুপারভাইজার থাকবেন দয়া করে দেখবেন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে কী না। না চায়ের দোকানে বসে বলে আমি বাড়ি বাড়ি গেছি।

এটা যেন না হয়। আমরা সবার কাছ থেকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। আগামী নির্বাচনি কর্মযজ্ঞে প্রায় ৭০ হাজার লোক কাজ করবে সারা দেশে। সুতরাং এখানে যদি কোন ভুল হয় তাহলে দেশের জন্য বিশাল ক্ষতি। কারণ সুষ্টু ভোটের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা পূর্ব শর্ত।

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, মৃত ভোটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, স্থানীয় সরকার যে জন্ম সনদ দেয় ওদের ওয়েব সাইটে দেখা যায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৩৬ কোটি। তাদের জন্ম সনদের ভিত্তিতে জনসংখ্যা ৩৬ কোটি। এর কারণ হলো যারা মারা গেছে ওটা জন্ম সনদ দিচ্ছে তারা মৃত্যু সনদ তো উঠাচ্ছেনা। যারা মারা গেছে তারা বাদ যাচ্ছেনা।

আমাদের ভোটারদের যারা মারা গেলো তাদেরকে তো আমাদের কর্তন করে দিতে হবে। একজন ভোটার যাতে কোনভাবে ডাবল ভোটার না হয় সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। একজন ব্যক্তি যাতে একাদিক স্থানে ভোটার না হন তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা তিনি। সিইসি বলেন, আমরা সুষ্টু সুন্দর নির্বাচন দিতে চাই। এ ব্যাপারে আমাদের অন্তরের মধ্যে কোন দ্বিধা-দ্বন্ধ নেই। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি এটার জন্য।

আজ (৯ জানুয়ারি) সকালে শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হলে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি(ঈইঞঊচ) প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ’’ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’’ শীর্ষক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

অতীতের ভোটে কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আগে তো ফেবার না করলে চাকরীতে টান পড়ত। কাউকে ফেবার না করতে চাইলেও অসুবিধা হতো। এখন কিন্তু ফেবার করতে গেলেও অসুবিধা হবে। কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এসময় তিনি আরও বলেন, কাউকে যদি আপনারা ফেবার করতে চান আমরা কিন্তু ছাড় দেবোনা।

যদি এটা আমাদের নলেজে আসে। এখন পুরো জিনিসটা উল্টো। আগে ফেবার না করলে যেমন অসুবিধা হয়েছে এখন করলেও অসুবিধা হবে। এটা আমার পরিস্কার সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমরা শক্ত অবস্থানে থাকব। যদি আমরা বুঝি কেউ একজন কাজ করছেন একটা বিশেষ দলের জন্য, বিশেষ ব্যক্তির জন্য কাজ করছে এরকম যদি আমরা দেখি আমরা এ্যকশনে যাবো। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আইন,বিধি অনুযায়ী নিজের বিবেক অনুযায়ী কাজ করবেন। আপনারা সঠিক কাজটা করলে আমরা একটা সঠিক নির্বাচন দিতে পারবো।

আমরা চাই আপনাদের সবার সহযোগিতা সহ দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ইলেকশন প্রক্রিয়ার সাথে যারা যারা সম্পৃক্ত থাকে ,আমাদের প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, বিজিবি , নেভি, আর্মি, এয়ার ফোর্স সহ যারা জড়িত থাকে সবার সহযোগিতা নিয়ে জাতিকে আমরা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই এবং আমরা দেখিয়ে দিতে চাই যে এটা সম্ভব। আমরা এটা প্রমান করতে চাই।  

সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম এর সভাপতিত্বে ও বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী কর্মকার ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক এর যৌথ সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে, এম আলী নেওয়াজ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো: মঈন উদ্দীন খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান (উপসচিব)  ও প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নানা ধরণের দাবী-দাওয়া জানাচ্ছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানাচ্ছে। এগুলো বিবেচনা করে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়েছেন। উনি বলেছেন এই নির্বাচনটা মিনিমান সংস্কার করে করতে হলে ডিসেম্বর পর্যন্ত করতে পারব। আর বেশি সংস্কার করতে হলে জুন পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারব এটা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা। আমার তাঁর ঘোষণাকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি।

দেশের ভোটরদের মধ্যে ভয় দূর করা ও আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার যে লক্ষ্য এর মধ্যে বড় একটা উদ্দেশ্য হলো মানুষের আস্থা এবং ভয় দূর করা। মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা, তাদেরকে সচেতন করা। আপনার ভোট আপনি দিতে পারবেন এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টির করা। এবং সভা-সেমিনার সহ ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এসময় সিইসি কর্মশালায় অংশ নেয়া মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ভোটের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন দেশে প্রধান এই নির্বাচন কমিশনার।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.