প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকেই পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব। (২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর পর ছাত্ররা প্রশাসনিক ভবনের গেট খুলে দিলে ভেতরে অবরুদ্ধ থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মুক্তিপায়। প্রায় সাড়ে ১৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিশ্বাবদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এতে দুইজন উপ-উপাচার্যসহ অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাক্ষাণ করে শিক্ষার্থীরা। এর পর রাত ৮টার দিকে সেখানে পুলিশ গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন। এর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে আসে উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব। তিনি আন্দোলনকারিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়।
গত দুই মাস ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে শুরু করে অনশন কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। এর প্রেক্ষিতে বুধবার (০১ জানুয়ারী) ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ছিল কোন ধরনের কোটা (পোষ্য কোটা) রাখা যাবে না।