দীর্ঘকাল ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজী, সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে বান্দরবানে সম্প্রীতির বন্ধনে মিছিল বের করেছে পাহাড়ের বসবাসরত ১২টি জাতিগোষ্ঠীর।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা পরিষদ আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ প্রাঙ্গন থেকে সম্প্রীতির বন্ধন মিছিল বের করা হয়। শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্ত মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। অংশ নেন পাহাড়ের বসবাসরত ১২টি সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ। পরে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি পথ নাটক মঞ্চায়ন করেন বান্দরবানের স্থানীয় সাংস্কৃতিক দল।
বক্তারা বলেন, সম্প্রীতি এই জেলায় ১২টি জাতি এখানকার সকলেই সহনশীল। একে অপরের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলে সহবস্থানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু কয়েকবছর ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে এই বান্দরবানকে অশান্তি পরিবেশ তৈরি করা পায়তারা চলছে। তাই যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর ঘটাতে না পারে সেদিকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
হোটেল রিসোর্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বক্তব্যে বলেন, কয়েকবছর ধরে কিছু সন্ত্রাসীরা বা বিপদগামী কিছু দল বান্দরবানকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। ফলে পর্যটনশিল্পে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাহাড়ি-বাঙ্গালীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পর্যটনখাদে প্রতিদিন এক কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে শত কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। সরকার প্রায় ৮৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে দাবি করেন এই বক্তা।
সম্প্রীতির বন্ধনে মিছিল শেষে সভাপতি বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি তনয়া ম্রো, হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিটিস জন ত্রিপুরা, বান্দরবান সদর বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল মুন থাং বম, হেডম্যান এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক উনিংহ্লা মার্মা, বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথলয়ের অধ্যাক্ষ সত্যজিত ভান্তে, এ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মার্মা, ছাত্র প্রতিনিধি বিটন তঞ্চঙ্গ্যা ও সৈনাং খুমীসহ এই সমাবেশে পাহাড়ি বাঙালি, বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ সামাজিক ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।