গাইবান্ধায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ফুলছড়ি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। আজ (২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে মো. আক্তারুজ্জামানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায় দল বহন করবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখেন।
এ সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কার্যকর করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।
বিচারপতির কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও গ্রেফতারের আগে বুধবার বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজার এলাকায় সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন যুবদল নেতা মো. আক্তারুজ্জামান।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনার আগেও গত বছরের ৬ আগস্ট হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিচারপতির কাছ থেকে একই পরিমাণ চাঁদা দাবি করেছিলেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী বলেন, চাঁদাবাজ কিংবা অপকর্মকারীদের যুবদলে কোনো ঠাঁই নেই। জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংগঠনের স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।