মিঠামইন উপজেলার হাওড়ের টুংগা, ভোগা ও নলুয়া স্কীমের কাজে বাধা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে একাই গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার দুই ছেলে জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর ও আলমগীর সিকদার ও একই গ্রামের মিছির আলীর ছেলে হবি সিকদার ও জয়নাল মিয়ার ছেলে জারু সিকদারের নামে।
গত মঙ্গলবার ৮ ডিসেম্বর মোঃ রবিউল হক কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রবিউল কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার মৌলভী পাড়া গ্রামের, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
অভিযোগে রবিউল বলেন, মিঠামইন উপজেলার হাওড়ের টুংগা, ভোগা ও নলুয়া স্কীমের ডাক দিলে সেই ডাকে আমি পাই। এই তিনটি স্কীম জামানত বাবদ ৪,৫০,০০০/ টাকা জমা দিয়ে সেই ডাকে আমি ২মন ০৯ কেজি ধানে আমি পাই। আমাদের মিঠামইন উপজেলার কিছু লোক আছে আমি স্কীম নেওয়ার পর থেকে আমার পিছনে ষড়যন্ত্র তৈরি করছে।
রবিউল অভিযোগে বলেন প্রথমেই তারা হাওড়ের বিলে যে পানি ছিল সেগুলো তারা কিছু লোক দিয়ে হাওড়ের বাধ ভেঙ্গে দেই। যার ফলে হাওড়ের বিলে যে পানি ছিল সেগুলো সব শুকিয়ে যায় হাওড় এতে করে হাওড়ের কৃষকের অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এরপরে তারা কামালপুর স্কীমের যে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটার চুরি করে নিয়ে যায় এবং স্কীমের পাম্প পাইপ খুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগে রবিউল আরও বলেন, তারা আমার এসব ক্ষতি করার পর ও তারা এখন ও শান্ত হয় নি এবং আমাকে দুইবার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে অনেক হয়রানির করেছে এবং আমাকে আরও মামলা দিবে বলে বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এখন মিথ্যা মামলার জন্য আমি বাড়িতে তাকতে পারতেছি না, আমার ছোট ভাইকে ডেকে নিয়ে বলে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ টাকা) চাঁদা দাবি করে। আমরা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাদেরকে বলে যে তোরা কি করে স্কীম পরিচালনা করিছ তা আমরা দেখে নিব। এতে করে স্কীমের কাজ কর্মগুলো ও ঠিক মতো করতে পারতেছি না।
রবিউল বলেন, যারা আমাকে হয়রানি করছে তাদের সবাই আওয়ামী লীগকে সাথে সম্পৃক্ততার অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। এখন তারা বিএনপি'র সাথে মিশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মত চাঁদাবাজি, সম্পত্তি দখল করছে। রতন নামের এক ব্যক্তি দিয়ে আমার নামে কৃষি অফিসারের কাছে দরখাস্ত দিয়ে হয়রানি করিয়েছে। কৃষকদের অনেক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে এবং আমার পরিবার ও বিভিন্ন সমস্যা এবং হয়রানির মধ্যে আছে।
জীবনে নিরাপত্তা ও স্কীমের কার্যক্রম পরিচালনা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী রবিউল হক।
এ ব্যাপারে মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মোঃ আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।