রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জে অবস্থিত ঝলক-পলক ছাত্রী নিবাস নামের একটি ছাত্রী নিবাসে একাধিক বর্ডারকে শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করার অভিযোগ উঠেছে। শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া সহ হুমকি ধামকি ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযো উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (২২ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১:০০ টায়।
মেস মালিকের ছেলের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছিত ঘটনায় গভীর রাতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রায় তিন শত শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা সম্বলিত মেসটিতে খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ্যকর সহ বেশ কিছু অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মেস মালিককে এবিষয়ে অসংখ্যবার অভিযোগ দেয়ার পরও তিনি সমাধানেরউদ্যোগ নেননি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার দিন রোববার বেলা বারোটার দিকে এবং রাত দশটার দিকে অভিযোগের বিষয় নিয়ে ছাত্রীদের সাথে মেস মালিকের দুই দফা বাকবিতন্ডা হয়। এই ঘটনার পর মেস মালিক ও তার দুই পুত্রের সাথে ছাত্রীদের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মেস মালিক আব্দুল মতিন এর পুত্র পলক কয়েকজন ছাত্রীকে মারধর করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা নগরীতে গতকাল রবিবার গভীর রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে রাত একটার দিকে তারা বিচারের দাবিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হাজির হন। তারা ঘটনার ব্যাপারে পুলিশে নিরবতায় বিক্ষোভ করতে থাকে।
পরবর্তীতে মেস মালিক আব্দুল মতিন এবং তার দুই পুত্র পলক ও ঝলককে গ্রেফতার করা হয় এবং একটি মামলা রেকর্ড করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এবিষয়ে বোয়ালিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মেহেদী মাসুদ বলেন, মোট চারজনের নামে মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে।