পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি ও সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু (৫৪) অসুস্থ্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেছে। ( ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না এলাহী রাজিউন)। আজ (২১ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৫ টায় পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আর বাদ আছর পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন রাজু।তিনি ঈশ্বরদীর সাহাপুর স্কুলপাড়াস্থ মৃত মাহফুজুর রহমান মাফুর ছেলে ছিলেন। এলাকায় সবার প্রিয় ও পরম শ্রদ্ধার এবং সম্মানের পাত্র ছিলেন নেফাউর রহমান রাজু।
বিএনপি নেতা নেফাউর রহমান রাজু ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদীতে তৎকালিন বিরোধী নেতা সদ্যপতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার ফরমায়েশী রায়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগারে চরম নির্যাতন জুলুম ও বিনা চিকিৎসায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েন রাজু। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন হলে বিগত দুইমাস আগে নেফাউর রহমান রাজুসহ ৩৯ নেতাকর্মী জামিনে মুক্তি লাভ করেন। এরপর থেকেই রাজু চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে নেফাউর রহমান রাজুর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী- আটঘরিয়া) এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম সন্টু সরদার, সাবেক সদস্য সচিব প্রভাষক আজমাল হোসেন সুজন, ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান, সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব প্রকৌশলী এমলাক হোসেন বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মান্নান টিপু, সাধারণ সম্পাদক এসএম ফজলুর রহমান, দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার ঈশ্বরদী প্রতিনিধি শেখ মেহেদী হাসান এবং ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম রবিউল ইসলাম, ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুর রহমান, সাঁড়া মাড়োয়ারী সরকারী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনুর রহমান শাহিন, সাহাপুর শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবান আলীসহ স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।