শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা পাহাড়ে বেড়াতে এসে ভোগাই নদীতে গোসল করতে নেমে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পাহাড়ঘেঁষা ভোগাই নদীর লক্ষীডোবায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের স্কুল শিক্ষক আহাম্মদ আলীর পুত্র ইফতেখারুল করিম মিহান ও ময়মনসিংহ সদরের উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীরের ছেলে এস এম সাজিত। সম্পর্কে তারা মামাতো ফুফাতো ভাই।
নিহতদের সাথে বেড়াতে আসা স্বজনরা জানায়, ১৮ জন মিলে পারিবারিকভাবে পানিহাটা পাহাড়ে বেড়াতে আসে। দুপুরে পাহাড়ের গা ঘেঁষা নদী ভোগাইয়ের লক্ষীডোবার কাছাকাছি মিহান ও সাজিত দুই ভাই মিলে গোসল করতে নামে।
এসময় তারা নদীর বালুচরে হাটতে গিয়ে অসাবধানতায় পা পিছলে প্রথমে সাজিত পানির গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে। এসময় তাকে বাঁচাতে মিহান এগিয়ে গেলে জড়াজড়ি করে দুই ভাই মিলে গভীরে তলিয়ে যায়। সাথে আসা তাদের চাচা সোহরাব ভাগ্নে ও ভাতিজাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিলেও তিনি নদীতে থাকা পাথরে আঘাত পেয়ে পড়ে যান। ততক্ষণে দুই ভাই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর পাঠানো হলে, টানা তিন ঘন্টা অভিযান শেষে বিকেল পৌণে চারটার দিকে নদীর তলদেশ থেকে দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্বজনেরা জানায়, একটি বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন সবাই হালুয়াঘাটে সমবেত হয়। শুক্রবার বিয়ে শেষে শনিবার নারী ও শিশুসহ মোট ১৮ জন মিলে পানিহাটা বেড়াতে আসে।
জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত জামালপুর থেকে নালিতাবাড়ী সীমান্তের পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে আসি। ডুবুরি নামানোর পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।