শীতের সকালে শেষ মুহূর্তে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা।সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে।কুয়াশা ঘেরা সকালে যখন সকলে আরামের বিছানা ছেড়ে উঠতে নারাজ তখনও পাখির কিচির-মিচির গানের সাথে তাল মিলিয়ে আপন মনে কেউ কেউ ধান কেটে ঘরে তুলছে আবার কেউ কেউ ধান কাটা শেষে সবজি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে,বীজ বপন করছে আর ফসল বুনছেন। ক্ষেতের অসময়ে অতিবৃষ্টি,ফসলের রোগব্যাধি কিংবা শেষে গিয়ে বৃষ্টি না মেলায় কাঙ্খিত অতিরিক্ত ধান না মিললেও একেবারে খারাপ হয়নি।বন্যা কিংবা রোগব্যাধির মাঝেও মোটামুটি ভালো ফসল পেয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দে ধান কাটছেন কৃষকেরা।
প্রান্তিক কৃষকেরা জানান, এবছর বন্যা, বাঁধ পানি,রোগ,অসময়ে অতিবৃষ্টিসহ নানা কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।শুরুতে একেবারে আশাহত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যায়ে এসে মোটামুটি ভালো ফসল পেয়েছেন তারা।
বাঁধ পানি,রোগ,বৃষ্টি, পানির জন্য জোর
মুফিজুর রহমান নামক একজন কৃষক ধান কাটতে কাটতে জানান, আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া।বন্যা,অতিবৃষ্টি ও ফসলের রোগব্যাধির মাঝেও মোটামুটি ভালো ফসল হয়েছে।
রাকিব হোসেন নামক একজন ধান কাঁধে হাটতে হাটতে প্রতিবেদককে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফসল একটু কম হয়েছে।তবে যা হয়েছে মোটামুটি ভালো।ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তেমন।
কৃষি সারের ব্যবসায়ী জানান, ফসলের রোগ দূর করার জন্য বিষ দেওয়ার পর নির্দিষ্ট একটা সময় পানি ছাড়া রাখতে হয়।কিন্তু বিষ কার্যকরী প্রভাব ফেলার আগেই অতিবৃষ্টির ফলে বিষের গুন নষ্ট হয়ে যায়।যার কারণে এবছর কৃষকদের ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এখনো পর্যন্ত প্রান্তিক কৃষকদের পুরোপুরি ডাটা আমরা তৈরি করিনি।তবে এখন পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি ভালো ফসল পেয়েছে কৃষকেরা।বন্যার কারণে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলাম আল্লাহর রহমতে তা হয়নি।ভালো ফসল হয়েছে।