× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আ’লীগ নেতার অবৈধ ইট ভাটায় হুমকিতে তিন ফসলি জমি

অভিযোগ দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা কৃষকরা

রাজশাহী ব্যুরো।

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৪ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা

পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ও কৃষি জমির ক্ষতিসাধন করে রাজশাহী বাগমারা উপজেলার ভগনদী ও শান্তিপুর গ্রামে তিন ফসলি জমির উপর ইট ভাটা নির্মাণ করে ইট প্রস্তুত করছে প্রভাবশালী এক আওয়ামী নেতা বলে অভিযোগ উঠেছে।  ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাহাঙ্গীর আলম বাদশা অবৈধভাবে ভাটাতে তৈরি করছে ইট।

ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারনে এলাকার বিভিন্ন ফলজ গাছ, কৃষি জমির ফসল, বাড়ির টিন নষ্ট হবার পাশাপাশি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। বর্তমানে ভাটা মালিক পলাতক থাকলেও; ছেলে সোহাগ তাদের মালিকাধীন ‘জেবিকে বিক্স’ নামের ইট ভাটাটি চালাচ্ছে স্থানীয় উপজেলা বিএনপি’র কতিপয় নেতাদের সাথে সখ্যতা করে। সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিদের সাথেও সখ্যতা আছে ভাটা মালিকের; অভিযোগ ভুক্তভোগী কৃষকদের।

পরিবেশের ভারসাম্য ও আবাদী জমি রক্ষার্থে গত ১৭-৯-২০২৪ ইং তারিখে ইট ভাটাটি বন্ধের দাবিতে ৯৫ জন ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগ পত্র রাজশাহী জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা পড়ে। কোন প্রকার সুফল না পেয়ে অবশেষে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর কয়েকশ কৃষক ও গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে উক্ত ভাটার সামনে মানবন্ধন করেন।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্তাব্যক্তিদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও, কৃষি জমি থেকে ইট ভাটা অপসারণের কোন প্রকার উদ্যোগ আজ অবদি চোখে পড়েনি গ্রামবাসির। উপরন্তু, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেবার কারণে কৃষকদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাঁপ বৃদ্ধি করেছে ইট ভাটার মালিকপক্ষ বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ইট ভাটাটি বিগত সরকারের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাদশার বলে জানান অভিযোগকারিরা। দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবার পর ভাটা মালিক বাদশা পলাতক থাকলেও, তার ছেলে সোহাগ স্থানীয় উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা করে দেদাড়ছে ইট তৈরি করছে অবৈধ ভাটাতে। ইট ভাটাটি বেশ কয়েক বছর আগে নির্মাণ হলেও আজ অবদি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পায়নি। রাজনৈতিক ক্ষমতার জোড়ে প্রায় ত্রিশ বিঘা জমিতে বিগত সময় থেকে এখন পর্যন্ত আ’লীগ নেতা বাদশা অবৈধভাবে ইট তৈরির মাধ্যমে আশেপাশের ফসলি জমি সহ আম লিচু ও কাঠালের মতো ফলজবৃক্ষের ক্ষতিসাধন করছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।  

জানতে চাইলে, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা শাখার পরিদর্শক নীল রতন সরকার বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ এর নিয়মানুযায়ী উক্ত ইট ভাটাটি ছাড়পত্র পাবেনা। কারণ ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন,-২০১৩ আইনটি ২০১৯ সালে সংশোধনের কারণে ছাড়পত্রের বিষয়টি আরো বেশি কঠোর করা হয়েছে।

আইনে বলা আছে, ছাড়পত্র থাকুক বা না থাকুক, এই আইন কার্যকর হইবার পর কোন আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষি জমি, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ও ডিগ্রেডেড এয়ার শেড এলাকায় কোন প্রকার ইট ভাটা স্থাপন ও প্রস্তুত করা যাবেনা।

তিনি আরো বলেন, ভাটাটি অন্যান্য সব দিক থেকেই মানসম্পন্ন। কিন্তু আইনের বেড়াজালে পরে সে আর ছাড়পত্র পায়নি। নতুন আইনের আওতায় ছাড়পত্র পাবার কোন সম্ভাবনাও নেই। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেছি। আশাকরি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এবিষয়ে তিঁনি (ইউএনও) যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, সকল অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে কারা এই আদেশ অমান্য করেছে। জেবিকে বিক্স নামের ছাড়পত্রবিহীন ইট ভাটাটি বন্ধের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয় থেকে কোন চিঠি আপনার দপ্তর বরাবর ফরোয়ার্ড করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে বলতে পারছিনা। অফিসের ফাইল দেখে বলতে হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.