× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শ্রেণিকক্ষের অভাবে মাটিতে বসে পাঠদান

স্বপ্ন খোঁজে সোনাদিয়ার শিশুরা

হোবাইব সজীব, কক্সবাজার প্রতিনিধি।

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪০ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা

চারিদিকে সমুদ্রে ঘেরা, মাঝখানে বিচ্ছিন্ন ছোট একটি দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া। এখানে নোনা জলের গর্জনে ঘুম ভাঙে মানুষের।  সোনাদিয়ায় শিক্ষার আলো পৌঁছালেও চতুথ শ্রেণিতেই পাঠ চুকিয়ে ঢেউয়ের ভাঁজে স্বপ্ন খুঁজতে থাকে সোনাদিয়ার শিশুরা।

৯ বর্গকিলোমিটারের এ দ্বীপে মানুষের জীবন-যাপনও খুবই সাধারণ। পলিথিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি তাদের ঘর। কিন্তু তারপরও শিক্ষা আলো থেকে বঞ্চিত করতে চান না সন্তানদের। দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় গড়ে উঠেছে বেসরকারী স্বপ্নযাত্রী বিদ্যাপীঠ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান। চতুর্থ  শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা চলে এই স্কুলে। কিন্তু দ্বীপটিতে আর একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা হাই স্কুল না থাকায় চতুথ শ্রেণির পরই ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এমনকি ইচ্ছা থাকা সত্তেও চারিদিকে সমুদ্র থাকায় উপজেলা শহরে গিয়ে শিশুদের পড়াশুনা করা তাদের এবং পরিবারের সম্ভপর নয়। কারণ, যোগাযোগের সহজলভ্য নয়। 


বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম মনিসহ অনেক শিক্ষার্থীরা জানায়, 'মাটিতে বসে আমাদের ক্লাস করতে হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। গরমের দিন ঠাসাঠাসি করে আমরা একদম বসতেই পারি না।'


সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশখালী জেটি বা কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা ঘাট কিংবা কক্সবাজারের নৌঘাট থেকে সোনাদিয়া দ্বীপে যেতে হয় বিশাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে। আর যাতায়াতের জন্য নৌযান তেমন একটা নাই এবং ব্যয় সাধ্য। তাই চাইলেই যে কেউ সোনাদিয়া থেকে অন্য কোথাও যেতে পাড়বে না। স্কুলটিতে শিক্ষক আছে মোট ২ জন। তাই প্রতিদিন ক্লাসও হয়না স্কুলটিতে। 


বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। টিনের ছাউনি যুক্ত স্কুলের একটি রুমে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। এমনকি বিদ্যালয়টিতে নেই কোনো বসার ব্যবস্থা, নিরাপদ খাবার পানি, উন্নত স্যানিটেশন কিংবা অবকাঠামো ব্যবস্থা।


সূত্রে জানা যায়, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বিদ্যালয়টি সরকারি-বেসরকারি সহযোগীতায় এখনও কোনো পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়নি। দোচালা টিনের ঘরে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষে দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে দুই শিফটে কোনোরকমে পাঠদান করা হচ্ছে।


এদিকে প্রয়োজনের তুলনায় চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ কিছুই নেই বিদ্যালয়টিতে। ছাত্র-ছাত্রীদের মাটিতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির চতুথ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসে ক্লাস করছে। ওই শ্রেণিতে ক্লাস করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, 'গাদাগাদি করে বসিয়ে  ক্লাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে মাটিতে বসেছে। এতে তাদের লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বেশ কষ্ট পায়। বিদ্যালয়ে বিদ্যমান ১টি শ্রেণিকক্ষে কোন বেঞ্চ নেই, বেঞ্চ ছাড়া কোন রকমে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাঠদান। 


মহেশখালী নবাগত নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ জানান, সোনাদিয়া স্কুলের বিষয়টি খোঁজ নেওয় হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.