কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহকারী চক্রের অন্যতম সদস্য, অস্ত্র ব্যবসায়ী খালেক ও তার দুই সহযোগী’কে বিপুল পরিমাণ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিকপাড়া এলাকায় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ০৬টি দেশীয় তৈরী এলজি পিস্তল ও ৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে র্যাব-১৫।
গ্রেফতারকৃত'রা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার এসএম পাড়া এলাকার মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে আব্দুল খালেক (২৯), মহেশখালীর উপজেলার বড় মহেশখালী দেবাঙ্গাপাড়ার রশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান(২৫) ,কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিকপাড়ার মৃত অছিউর রহমানের ছেলে ছুরুত আলম (৫৭)।
র্যাব-১৫ সূত্রে জানানো হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস আভিযানিক দলের অভিযান পরিচালনা করে। এতে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ আব্দুল খালেক নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তার দুই সহযোগীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১৫ সূত্রে আরো জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অস্ত্র কারবারী চক্রের সদস্য। এছাড়া তারা অস্ত্রগুলো মহেশখালী থেকে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মজুদ করতো এবং পরবর্তীতে এ অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্রয় করতো।
গ্রেফতারকৃতরা চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী ও অস্ত্র কারবারী চক্রের অন্যতম সদস্য। গ্রেফতারকৃত খালেকের নামে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অস্ত্র, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মারামারি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ০৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত নোমানের নামে মহেশখালী থানায় অস্ত্র, মাদক, মারামারি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ০৭টি মামলা রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত ছুরুত আলমের নামে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১টি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার) মোঃ কামরুজ্জামান, পিপিএম (সেবা) জানান, উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। পর্যটন নগরীতে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক এবং স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের অস্ত্রের যোগানের উৎস ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নির্মূলে র্যাবের অনুসন্ধান ও অভিযান চলমান রয়েছে।