মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শেখ রুমেল আহমদের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘরে থাকা মা-চাচি অগ্নিদ্বগ্ধে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান। মর্মস্পর্শী ওই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে শহরতলীর মোস্তফাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ঘরটিতে থাকা জেলা যুবলীগ নেতা শেখ রুমেল আহমদ এর বৃদ্ধা মা মেহেরুন্নেসা (৭০) ও চাচি ফুলেছা বেগম (৬৫) অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মারা যান।
মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার যীশু তালুকদার বলেন, রাতে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িতে থাকা মেহেরুন্নসা ও ফুলেছা বেগম আগুনের ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্য চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ডুপলেক্স বাড়িটি বিভিন্ন জাতের বোর্ড দিয়ে ডেকোরেশন করা ছিল। বৈঠক খানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন জানান, ভোর ৪ টা থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সহ আমাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। আমি নিজেও ছিলাম সেখানে। সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় দুটি মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের সূত্রমতে যতটুকু জানতে পেরেছি তা হলো, বৈদ্যতিক সর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুণের সূত্রপাত। এ ঘটনায় তদন্ত সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান শেখ রুমেল। এর পর মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে গুঞ্জন থাকলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিজ বাড়ি আগুনে পুড়ার ঘটনা ও মা-চাচির নির্মম মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন পুরো পরিবার ও স্বজন। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ব্যবহৃত ফেসবুকে অগ্নিকান্ডে মা-চাচির মৃত্যতে শোক জানিয়ে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি অগ্নিকান্ডের ঘটনার জন্য লিখেন, মৌলভীবাজার বাসী আমি সর্বোচ্চ মালিক আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।