দেশের এক মাত্র পাহাড়ী দ্বীপ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর এক অচিন দ্বীপের নাম সোনাদিয়া। ঘটিভাঙা-সোনাদিয়া দ্বীপে ১ হাজার অবৈধ দখলদার লাখ লাখ বাইন,কেঁওড়া, কেয়া গাছের প্রাকৃতিক বন (ম্যানগ্রোভ) কেটে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে এখানকার মোট বনভূমির চার ভাগের দুই ভাগ দখল করে নিয়ে ৫০টির মত মৎস্য প্রকল্প তৈরি করেছে।
জানাযায়, ২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৬৭ একর সোনাদিয়া দ্বীপটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কে সোনাদিয়া ইকোট্যুরিজম পার্ক করার জন্য সরকার বন্দোবস্তি দেয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মহেশখালীর স্থানিয় ভূমি দস্যুরা দলীয় সাইন বোর্ডে মিলেমিশে প্রায় ৪ হাজার একর বনের জমি দখল করে অবৈধ চিংড়ি ঘের নিমার্ণ করেছেন।
এদিকে সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে সরকারের অনুকূলে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মাত্র ১ হাজার ১ টাকা সেলামিতে বেজাকে এ বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সোনা দিয়া জমি বরাদ্দ হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন। গত (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দজানাযায়, বনের জমিতে করা চিংড়ি ঘের গুড়িয়ে দিয়ে পুনরুদ্ধারের জন্য আজ ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১১ টার সময় চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জের ঘটিভাঙা-সোনাদিয়া দখল হওয়া বনের জমি পরির্দশন করেছেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ মোহাম্মদ মারুফ হোসেন,সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ সাজমিনুল ইসলাম, মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক, গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী লাখ লাখ প্যারাবনের বাইন ও কেওড়া গাছ কেটে ভূমিদস্যুদের নির্মিত মৎস্য প্রকল্প পরিদর্শন করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি অতি দ্রুত মন্ত্রণালয়ে কথা বলে দখলকৃত বনভূমিতে অবৈধ মৎস্য ঘের দখল উচ্ছেদ করে আবারও সবুজ বনভূমিতে পরিকল্পিত বাগান সৃজনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানান। এছাড়া এভাবে দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলে থাকা বনের প্রতিটি জায়গা উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান প্রধান বন সংরক্ষক।